বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বৈঠক প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেলেও শেষমেশ হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লামিদির পুতিনের মুখোমুখি হননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার পাঠানো একটি বার্তা (মেমো) পেয়েই ট্রাম্প ওই বৈঠক বাতিল করে দেন। এমনটাই দাবি করেছে ব্রিটেনের সংবাদপত্র ফিনান্সিয়াল টাইমস।
প্রতিবেদন অনুসারে, বৈঠক বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ওই ফোনালাপের পরই রুবিও ট্রাম্পকে জানিয়ে দেন যে, মস্কো বোঝাপড়ায় আসতে রাজি নয়। তারপরই বৈঠক বাতিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেন ট্রাম্প।
ইউক্রেনের দোনবাস এলাকাকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে থাকে রাশিয়া। পুতিন চান ওই এলাকাকে রুশ ভূখণ্ডের অন্তর্ভুক্ত করতে। যুদ্ধ স্থগিত করতে ইউক্রেনের ওপর আরও কিছু শর্ত দিয়ে রেখেছে রাশিয়া। তার একটি হলো, ইউক্রেনকে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা কমাতে হবে। আরেকটি শর্ত হলো, মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোয় অন্তর্ভুক্ত না হওয়ার নিশ্চয়তা দিতে হবে ইউক্রেনকে।
ইউক্রেনের পাল্টা দাবি, দুই দেশের বর্তমান যুদ্ধরেখা মেনেই যুদ্ধবিরতি হোক। ট্রাম্পও তা-ই চান। কিন্তু রাশিয়ার পাঠানো বার্তায় পুরনো সেই দাবিগুলোর কথাই ফের তোলা হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, তাতেই রুষ্ট হন ট্রাম্প। দুই দেশের দুই শীর্ষ কর্মকর্তাদের ফোনালাপেও সমাধানসূত্র মেলেনি।
ফিনান্সিয়াল টাইমস-এর এই প্রতিবেদন নিয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি রাশিয়া বা ইউক্রেন। রয়টার্স জানিয়েছে, তারা এখনও এই খবরের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে পাঁচ বছর পূর্ণ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। বারবার পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা করেও যুদ্ধ থামাতে পারেননি ট্রাম্প। কোনো সমঝোতা হয়নি।
সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। এরপরই হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে পুতিনের সঙ্গে তার একটি বৈঠক নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে গত সপ্তাহে হতাশ ট্রাম্প জানান, পুতিনের সঙ্গে দেখা করে তিনি আর ‘সময় নষ্ট’ করতে চান না। #

















