রামেক’র ১১অধ্যাপককে ডিঙিয়ে “স্বাচিপ” নেতাকে “অধ্যক্ষ” নিয়োগ !!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্বাধীনতা চিকিৎক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতা ডা. মহিবুল হাসানকে নিয়ম ভেঙে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। ১১-জন অধ্যাপক এবং ৩৫-জন সহযোগী অধ্যাপককে ডিঙিয়ে (সুপারসিড করে) তাকে গত ৮-এপ্রিল এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অন্য শিক্ষকরা।

 

এর ওপর চাকরির মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়াতে বর্তমানে উচ্চপর্যায়ে তদবির শুরু করছেন তিনি। এ নিয়ে রামেক’র শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিচ্ছে।

 

কারণ সিনিয়র কনসালটেন্ট পদমর্যাদার (চলতি দায়িত্বের সহযোগী অধ্যাপক) বহুল আলোচিত এই স্বাচিপ নেতা ও রামেক’র অধ্যক্ষ আগামী ১৯-জুন পিআরএল-এ যাচ্ছেন।

 

এদিকে, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. বুলবুল হাসান সম্প্রতি  উপাধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পেয়েছেন। অথচ উপাধ্যক্ষের নিম্নপদবিধারী সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মহিবুল হাসান অধ্যক্ষ পদে বহাল রয়েছেন। কেবল তাই নয়, তিনি এখনও অধ্যক্ষের পদ আঁকড়ে থাকার চেষ্টা-তদবির করছেন। অথচ ‘ডা. মহিবুল হাসানের কোনো পোস্ট গ্র্যাজুয়েট তথা মাস্টার্স অব সার্জারি (এমএস), ডক্টর অব মেডিসিন (এমডি), এমনকি এফসিপিএস ডিগ্রি নেই। এর পরও অধ্যক্ষ পদে টিকে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ায় কলেজের দেড়শতাধিক শিক্ষকের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।

 

বর্তমানে তিনি ভিজিটিং কার্ডে ও নেমপ্লেটে নিজেকে এমবিবিএস, এমসিপিএস, এমএস ও পিএইচডি ব্যবহার করেন।’ প্রসঙ্গত, প্রথম শ্রেণির মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের জন্য সিনিয়র অধ্যাপক ও পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ডা. মহিবুল হাসান অধ্যাপক এমনকি সহযোগী অধ্যাপক না হয়েও অদৃশ্য ইশারায় প্রথমে উপাধ্যক্ষ ও পরে অধ্যক্ষ হয়েছেন।

 

জানতে চাইলে রামেক অধ্যক্ষ ডা. মহিবুল হাসান বলেন, তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা। তার প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল এমন অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। মূল ঘটনা হচ্ছে তিনি আগামী ১৯-জুন পিআরএল-এ যাচ্ছেন। তবে এক্সটেনশনের জন্য আবেদন করেছেন। এখন সরকার যদি মনে করে তাকে প্রয়োজন, তাহলে এক্সটেনশন দিবে। তাই এখানে যারা আসতে চায় তাদের একটিপক্ষ এমন অপপ্রচার করছেন বলেও দাবি করেন রামেক অধ্যক্ষ ডা. মহিবুল হাসান।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.