রাবি শিক্ষার্থীর কাছে স্থানীয় তিন যুবকের চাঁদাদাবি

রাবি প্রতিনিধি:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে স্থানীয় তিন যুবকের বিরুদ্ধে মারধর করে জোরপূর্বক মোবাইল ফোন, টাকা ছিনিয়ে নেয়া সহ চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীর নাম নাসির হোসেন, বাসা সিরাজগঞ্জ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডীর এক ছাত্রাবাসে থাকে বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (১২জুলাই) সন্ধ্যায় নাসিরের কাজিন (ফুফাতো বোন) তার মেসের সামনে দেখা করতে আসলে তাদের কে আটকে রেখে মারধর ও জোরপূর্বক দুজনকে এক সাথে বসিয়ে ছবি তুলে।

নাসির ও তার কাজিনের সাথে থাকা মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে ওই ছবি ফেসবুকে প্রকাশ করার ভয় দেখিয়ে নাসিরের কাছ থেকে আরো বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা।

নাসির ঘটনার বর্ণনা করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাহায্যে চেয়ে বাঁচার আকুতি জানায়।

ভুক্তভোগি শিক্ষার্থী নাসির বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘শুক্রবার আমার জন্মদিন ছিল। বন্ধুদের সাথে জন্মদিন পালন শেষে আমি মেসে চলে আসি। পরে জন্মদিনের উপহার দিতে আমার কাজিন মেসের সামনে আসলে। আমি জন্মদিনের উপহার নিতে গেলে হটাৎ করে তিন বহিরাগত যুবক এসে অশালীন ভাষায় কথা বলে এবং আমার সামনে আমার কাজিনকে কুপ্রস্তাব দেয়।

আমাকে হটাৎ মারধর শুরু করে তারপর আমার কাজিনকে জোরপূর্বক আমার রুমে নিয়ে এসে আমাদের ছবি ওঠায় এবং ঘন্টা ব্যাপী আটকে রেখে শারীরিকভাবে আমাদের লাঞ্জিত করে। পরে অমারা কান্নাকাটি করে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করলে তারা আমাদের কাছের ফোন এবং টাকা নিয়ে নেয় এবং আগামী (১৬জুলাই) মঙ্গলবারের মধ্যে বিশ হাজার টাকা দাবি করে।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নাসিরের বিভাগের এক বড় ভাই বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘নাসিরকে চাঁদা দেয়ার জন্য প্রত্যেক সময় চাপ দেয়া হচ্ছে। টাকা না দিলে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হচ্ছে এখন সে আতঙ্কিত হয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে এবং ভয়ে মেসে যেতে পারছে না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যপক লুৎফর রহমান বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ইতিমধ্যেই বিষয়টি আমি শুনেছি এবং ওই শিক্ষার্থীর সাথে আমার কথা হয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এ ব্যাপারে পুলিশকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.