রাবি গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে চিরনিদ্রায় হাসান আজিজুল হক

নিজস্ব প্রতিবেদক: সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধায় অন্তিম বিদায় জানানো হলো নক্ষত্রতুল্য কিংবদন্তীকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে শায়িত হলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক।
এরআগে, গতকাল সোমবার (১৫ নভেম্বর) রাতে ৮৩ বছর বয়সে নিজ বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। রাতেই পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় অধ্যাপক হাসান আজিজুল হকের মরদেহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কবরস্থান বা গণকবরে দাফন করা হবে। তবে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে তাকে দাফনের সিদ্ধান্ত হয়।
স্থান পরিবর্তনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক শাহ আজম শান্তনু। তিনি বলেন, পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে কবরের স্থান নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে হাসান আজিজুল হকের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা শোক প্রকাশ করেছেন। তারা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিকের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনার পাশাপাশি তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।
অসুস্থ অবস্থায় গত ২১ আগস্ট হাসান আজিজুল হককে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই সপ্তাহের বেশি সময় চিকিৎসা নেন তিনি। কিছুটা সুস্থ’ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী নেওয়া হয়।
হাসান আজিজুল হক ১৯৩৯ সালের ২ ফেব্রæয়ারি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার যবগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি রাজশাহীতে কাটিয়েছেন। ১৯৭৩ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ৩১ বছর অধ্যাপনা করেন।
বর্তমানে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাশে নগরের চৌদ্দপায় এলাকার আবাসিক এলাকা ‘বিহাস’-এর নিজ বাসা ‘উজান’-এ বসবাস করছিলেন।
অধ্যাপনার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন হাসান আজিজুল হক।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.