রাবি ক্যাম্পাসের প্রিয়মুখ ‘এহসান মাহফুজ’

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মতিহারের ৭৫৩ একরের সবুজ চত্ত্বরে বর্তমানে প্রায় ৩৯ হাজার শিক্ষর্থীদের পদচারনায় মুখরিত। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভিতরে কিছু মুখ আছে যারা বিশ^বিদ্যালয়ের বিভন্ন কাজের সাথে জড়িত। কেউ হয়ত পড়াশুনায়,কেউ হয়ত সাংবাদিকতায়, কেউ হয়ত সংগঠনের নেতৃত্ব, কেউ হয়ত সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার প্রত্যয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় মুখ হয়ে ওঠেছেন।

ঠিক তেমনি রাবি ক্যাম্পাসের হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের ভিতরে অসহায় সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার নিমিত্তি যে ব্যক্তিটি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন- রাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এহসান মাহফুজ।

এহসানের বয়স যখন ১৫ তখন সে তার বাবাকে হারায়। তার বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী এবং তার মা ছিলেন একজন গৃহিণী। দুই ভাইবোনের ভিতরে তিনি ছিলেন ছোট, এহসানের বাবা জয়পুরহাটের বিভন্ন সমাজসেবা মূলক সংগঠনের নেতৃত্বে থাকার কারনে তার ছোটবেলা থেকে অসহায় সাধারন মানুষের পাশে থাকার প্রবল ইচ্ছা তৈরি হয়। তারইপথ ধরে বাবা মারা যাওয়ার পর এহসান এলাকাতে একটা সমাজসেবা মূলক সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় সাধারন মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে।

উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর তার মায়ের প্রবল ইচ্ছাতে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হয়। প্রথম বর্ষ থেকে তিনি তার সহপাটি থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় এর অসহায় সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার চেষ্টা করে আসছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী হটাৎ করে অসুস্থ হলে, অসহায় শিক্ষার্থীদের টিউশনি ব্যবস্থা করা, ভর্তি ফ্রি সহ বিভন্ন ধরনের সেবামূলক কাজে শিক্ষার্থীদরে পাশে থাকতে তাকে দেখা গিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বিটিসি নিউজকে বলেন, আামি ক্যাম্পাসে আসার পর থেকে এহসান ভাই এর নাম শুনেছি যে ওনি অসহায় সাধারন শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে বিভন্ন রকম কাজ করে আসছে। সেইপথ ধরে আমি আমার এলাকার দুইটা ছেলের জন্য ওনার কাছে গেছিলাম এবং ওনি ওনার সাধ্যমত চেষ্টা করে তাদেরকে বিভন্নভাবে সাহায্যে করেছিল। তিনি আরও বলেন বর্তমানে রাবি ছাত্রলীগের সহ সভাপতি এহসান ভাইয়ের মত অনেক রাবি ছাত্রলীগের কর্মী অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে এসে দাড়ায় এটা আমি মনে করি রাবি ছাত্রলীগের একটা গর্বের বিষয়।

জানতে চাইলে এহসান মাহফুজ বিটিসি নিউজকে বলেন, আমি ছোটবেলা থেকে চেষ্টা করি অসহায় সাধারন মানুষের পাশে থাকার। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ছেলে মেয়ে ভর্তি হয় মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসে। এজন্য তাদের বিভন্ন সময় বিভন্ন ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়, সেইজায়গা থেকে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন অসহায় সাধারন শিক্ষার্থী আমার কাছে আসলে আমার যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে আমি তাদের সাহায্যে করার চেষ্টা করি। তিনি আরও বলেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারন শিক্ষার্থীদরে আয়ের উৎস যেহেতু খুবই কম সেহেতু আমরা যারা আমাদের জায়গা থেকে সাহায্যে করার সামর্থ্য আছে, তাদেরকে অবশ্যই অসহায় শিক্ষার্থীদের পাশে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.