রাবিতে নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের নির্মানাধীন মিলনায়তনের একাংশ ধসে পড়ার ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। গত রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সিলগালা প্রতিবেদন জমা দেন তারা।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক তারিকুল হাসান বিষয়টি বিটিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।  
রেজিস্ট্রার বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগেই তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি উপাচার্যের কাছে পাঠানো হয়েছে। পরে সেটি সিন্ডিকেটে উত্থাপন করা হবে।’
তদন্ত কমিটির সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরি বলেন, গত রবিবার সিলগালা করা প্রতিবেদন রেজিস্ট্রার দপ্তরে জমা দিয়েছেন। তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তদন্ত কমিটির কেউ কথা বলতে রাজি হননি।   
উল্লেখ্য, এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান হলের মিলনায়তনের একাংশ ধসে পড়ে। এ ঘটনায় নয়জন আহত হয়। ওই দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই দিন থেকে পরবর্তী সাত কার্যদিবস ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি।
পরে তদন্ত কমিটির সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আরও সাতকার্যদিবস বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফা সময় শেষ হওয়ার আগেই গত রবিবার তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা যায়, শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান আবাসিক হল ও ২০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের নির্মাণকাজ করছে রূপপুরের ‘বালিশ কান্ডে’ আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন এ দুই ভবনে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি জি, এম হাসান-ইসালাম (বাবুল) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.