রাবিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে বাড়ছে মৃত্যুর ঝুঁকি
রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) প্রায় ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর এক-তৃতীয়াংশ এর আবাসনের স্থান বিশ^বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের বিনোদপুর বাজারের পশ্চিমপাশে অবস্থিত মেসগুলোতে। প্রত্যেকদিন এই মহাসড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা পার হতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে।
গত বৃহস্পতিবার (২এপ্রিল) রফিক নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী সন্ধ্যায় বিনোদপুর সংলগ্ন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে জেব্রা-ক্রসিং মেনে অতিক্রম করতে গিয়ে, একটি অটো-রিক্সার ধাক্কায় শরীরের বিভন্ন স্থানে প্রচন্ড আঘাত সহ একটি দাঁত ভেঙ্গে যায় তার। দূর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে রফিক বলেন, ‘আমি যখন অটো রিক্সায় ধাক্কায় পড়ে যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথার এক ফিট সামনে দিয়ে একটি বাস চলে যায়। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেছি আমি।’
এমন হাজারো শিক্ষার্থী ও পথচারীরা একের পর এক এমন দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়তই। কেউবা আহত হচ্ছে গুরুতরভাবে কেউবা অল্পের জন্য বেঁচে যাচ্ছে।
দূর্ঘটনার কথা বলতে গিয়ে রফিক বলেন, ‘আমি যখন অটো রিক্সায় ধাক্কায় পড়ে যায়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার মাথার এক ফিট সামনে দিয়ে একটি বাস চলে যায়। কোন রকমে প্রাণে বেঁচে গেছি।’
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের পাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ বিনোদপুর ও কাজলা মিলে মোট তিনটি ফটক রয়েছে। সকাল থেকে মধ্যরাত অবধি হাজারও ভারি যানবাহন, মাইক্রোবাস, বাস, অটো-রিক্সা ও লেগুনার অনিয়ন্ত্রিত চলাফেরা করতে দেখা যায়। সিঙ্গেল লেনের এই রাস্তায় যা চলাফেড়া করা যেন অনিরাপদ হয়ে দাড়িয়েছে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন বিনোদপুরের স্থানীয় বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম। কতটুক নিরাপদ এ রাস্তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিনোদপুর ও কাজলায় অনিয়ন্ত্রিত যানবাহনের চলাচল আমাদের জীবনের জন্য হুমকি। বেপরোয়া যানবাহন চলাচলের কারণে বিভিন্ন পথচারীরা ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরনের দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে। আমরা আর কোন হতাহতের বা মৃত্যুর কোন ঘটনা দেখতে চাই না। এ বিষয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ বিটিসি নিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নিকট বিনোদপুর এবং কাজলায় ফুটওভার ব্রিজে চেয়ে আবেদন করেছেন। কাজের কতটুক অগ্রগতি তা বলতে পারছি না।
এদিকে ফুটওভার ব্রিজ স্থাপনের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এম এ বারী বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে শুনেছি অনেক আগে রাসিক মেয়রের নিকট আবেদন করা হয়েছিলো। এর অগ্রগতি সম্পর্কে বলতে পারছি না।’
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আরজুমান বানু বিটিসি নিউজকে বলেন, ঢাকা-রাজশাহী ব্যস্ততম মহাসড়ক হলেও এখানে কোন ফুটওভার ব্রিজ নেই। কিন্তু এই মহাসড়ক দিয়ে চলাফেরা করে হাজারো ভারি যানবাহন যা আমাদের শিক্ষার্থী এবং সাধরান পথচারীদের রাস্তা পার হতে গিয়ে বড় দূর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এমতাবস্থায় এখানে ফুটওভার ব্রিজ খুবই প্রয়োজন। কিন্তু এটা আসলে সিটি কর্পোরেশন এর কাজ। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে রাসিক মেয়রের সাথে কথা বলেছি। আশা করি খুব অল্প সময়ে এর সমাধান হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাবি প্রতিনিধি মো: মুজাহিদ হোসেন।#
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.