রাধানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি ১৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ!

আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার ‘রাধানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব আলীসহ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আলম প্রধান বিদ্যালয় অফিস কক্ষে প্রায় সাড়ে ১৫ ঘন্টা অবরুদ্ধ থাকার পর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মুচলেকা দিয়ে আপাদত মুক্ত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির যোগ সাজসে বিদ্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে রাধানগর গ্রামের মোঃ আক্কাশ আলী (ময়ূর) এর ছেলে মোঃ সাব্বির হোসেন (রনি) কে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে প্রায় দুই বছর আগে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন।
আক্কাশ আলী (ময়ূর ) বলেন, আমি গরীব লোক। অভাবের সংসারের মূল্যবান সম্পদ বিক্রি করে প্রধান শিক্ষক ও সভপাতি সাহেবকে ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছি। যা আমার পক্ষে দু:সাধ্য ব্যাপার। মনে করেছিলাম ছেলের চাকুরী হবে। সংসারে সুখ ফিরে আসবে।
সম্প্রতি প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী ও সভাপতি মাহাবুব আলম প্রধান আমাকে ডেকে বলেন, তোমার ছেলেকে চাকুরী দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এমন কথা শুনে আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। আমাকে টাকা ফেরত দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন । বিষয়টি নিয়ে পরিবারের লোকজন সহ কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে। শুনেছি একই পদের জন্য আরো কয়েক জনের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে পকেটস্থ করেছেন।
প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির আশ্বাসে আমার টাকা ফেরত চাইতে গেলে টাল বাহানামূলক কথাবার্তা বলেন।
নিরুপায় হয়ে আজ রোববার (০৯ জুন) পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিদ্যালয় গেইটের সামনে দুপুর ১২ টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করি। দাবী ছিল আমার টাকা ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত পরিবার নিয়ে বাড়ি ফিরে যাব না।
এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আয়ুব আলী, সভাপতি মাহাবুব আলম প্রধান, সহকারী শিক্ষক মুকুল চন্দ্র বর্মন, অফিস সহকারী দেলোয়ার হোসেন অফিস কক্ষে ছিলেন। কয়েকশত মানুষ আমার ন্যায্য অনশন কর্মসুচি পর্যবেক্ষণ করেছেন। রাত সাড়ে ৩ টার সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাদত অনশন কর্মসুচি তুলে নেওয়া হয়েছে।
ময়ূর জানান, রাত প্রায় সাড়ে ৩টার দিকে খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান, আটোয়ারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুসা মিয়া ও রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাহেদ রাধানগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন।
বিষয়টি শোনার পরে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভনে অর্থ গ্রহণকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আয়ুব আলী ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাহাবুব আলম প্রধানের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে আপাদত ময়ূর পরিবারের অনশন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
ইউএনও মোঃ শাফিউল মাজলুবিন রহমান বলেন, খবর পেয়ে ওসি সহ ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে মুচলেকা নেয়া হয়েছে। আগামী ২০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর আটোয়ারী (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি মো. লিহাজ উদ্দীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.