রাত পোহালেই এবার বড় ম্যাচ, দ্বিতীয় দফার নন্দীগ্রামে 

(রাত পোহালেই এবার বড় ম্যাচ, দ্বিতীয় দফার নন্দীগ্রামে)
কলকাতা প্রতিনিধি: রাত পোহালেই এবার বড় ম্যাচ, দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। বাংলার বিধানসভা নির্বাচন এবার মোট আট দফার হলেও আট থেকে আশি প্রত্যেকে জানে, সবচেয়ে হেভিওয়েট নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এপ্রিলের প্রথম দিনই। কারণ এই নির্বাচনে নন্দীগ্রাম থেকে মুখোমুখি লড়াই করতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁরই একসময়ের সুহৃদ শুভেন্দু অধিকারী।
বলাই বাহুল্য সারা বাংলা তাকিয়ে থাকবে এই কেন্দ্রের দিকে। এমনকি বাংলার ভাগ্য নির্ধারক কেন্দ্র নন্দীগ্রাম এমনটা বললেও বোধহয় ভুল বলা হবে না।
নন্দীগ্রামে পোলিং বুথ ৩৫৫টি। এর মধ্যে প্রধান বুথ ২৭৮টি, অক্সিলিয়ারি বুথ ৭৭ টি। এর মধ্যে ২৬৭ টি বুথে ওয়েবকাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে মোট ভোটারের সংখ্যা ২ লক্ষ ৫৭ হাজার ১৫৬টি। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার রয়েছে ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২৫৭ জন আর মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৮৯৮ জন।
ইতিমধ্যেই সব বুথকেই স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শুধুমাত্র দুহাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে নন্দীগ্রামের জন্য। গোলমাল রুখতে থাকছে ২২টি ক্যুইক রেসপন্স টিমও। এমনকি অশান্তির সম্ভাবনা বাড়লে গোটা নন্দীগ্রামেই ১৪৪ ধারা জারি করে ভোট করতে পারে কমিশন।
উল্লেখ্য, দ্বিতীয় দফার ভোট হতে চলেছে মোট ৩০ আসনে। শুধু নন্দীগ্রামই নয়, পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছে তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, পাঁশকুড়া পশ্চিম, ময়না, নন্দকুমার, মহিষাদল, চণ্ডীপুর, হলদিয়া-র মতো আসনগুলি। পাশাপাশি ভোট হবে পশ্চিম মেদিনীপুরের- খড়্গপুর সদর, নারায়ণগড়, সবং, পিংলা, ডেবরা, দাসপুর, ঘাটাল, চন্দ্রকোনা, কেশপুরেও।
এই দফার ভোটের গুরুত্ব যে অন্য দফার থেকে কয়েক গুণ বেশি তা বোঝা যাচ্ছে কমিশনের তৎপরতাতেই। ভোটের মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই মহিষাদলের সিআইএ বিচিত্রবিকাশ রায়ের জায়গায় আনা হয়েছে শীর্ষেন্দু দাসকে। পাশাপাশি হলদিয়ায় বরুণ বৈদ্যের জায়গায় এসেছেন উত্তম মৈত্র।
প্রসঙ্গত: গতকাল মঙ্গলবারই অভিযোগ উঠেছে ময়নার প্রার্থী অশোক দিন্দার গাড়িতে ভাঙচুর হয়েছে। ফলে কমিশনের বাড়তি নজর থাকবে এই কেন্দ্রে। ভোট রয়েছে বাঁকুড়া- ওন্দা, বড়জোড়া, বাঁকুড়া, তালডাংরা, সোনামুখী, ইন্দাস, কোতলপুর, বিষ্ণুপুরের মতো কেন্দ্রেও।’
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই দফায় ভোট ঢুকছে দক্ষিণ ২৪ পরগণায়। এই জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রায় বাজি ধরে ৩১ এ ৩১টি আসন পেয়েছিলেন। কাজেই তৃণমূল যখন গড়রক্ষায় প্রাণপাত পরিশ্রম করছে এই এলাকায়, বিজেপিও চেষ্টার কসুর করেনি। আমফান ত্রাণে ক্ষুব্ধ মানুষকে সংঠিত করা থেকে গঙ্গাসাগরে আন্তর্জাতিক মেলার প্রতিশ্রুতি, বিজেপির প্রচার-প্রতিশ্রুতির তালিকাটা দীর্ঘ। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় প্রথম দফার ভোট গোসাবা, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, সাগরে।
ভোটের বাদ্যির আওয়াজ ক্রমশ যেমন বেড়েছে এই কদিনে বেড়েছে সূর্যের ভ্রুকুটিও। চৈত্রের বঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় তাপপ্রবাহের কথাও বলছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। বাড়ছে আদ্রতাজনিত অস্বস্তিও। এই পরিস্থিতিতে সক্রিয় মতদানের এই যজ্ঞে অংশগ্রহণ কি কমবে‌? ভয় রয়েছে করোনার বাড়বাড়ন্ত নিয়েও। প্রথম দফার নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোটদান দেখে অবশ্য অনেকে বলছেন, জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের প্রশ্নে সব বাধা কাটিয়েই সকাল সকাল বুথের লাইনে দাঁড়াবে আমজনতা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (কলকাতা) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.