বিটিসি জীবন যাপন ডেস্ক: রাতের ভালো ঘুম সুস্বাস্থ্য, সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এবং কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য। ঘুমের অভাব শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, যেমন ক্লান্তি, মেদ জমা, ডায়াবেটিস, মাথাব্যথা, মুড সুইং, এবং মনোযোগ কমে যাওয়া। ভালো ঘুমের জন্য একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, নিয়মিত ব্যায়াম, সঠিক খাদ্যাভ্যাস, এবং ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পরিহার করা জরুরি।
বর্তমান সময়ে মানুষের ঘুমের মাত্রা এবং মান আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আর এর পেছনে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার বেড়ে যাওয়া। কিন্তু রাতে ভালো ঘুম আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তাই জানুন রাতে একটি ভালো ঘুমের উপকারিতা-
১. গবেষণায় দেখা গেছে যে, রাতে যাদের ভালো ঘুম হয় না বা কম ঘুম হয় তাদের ক্ষুধা বেশি থাকে এবং ক্যালরি খাওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়। এছাড়া রাতে ঘুমের অভাব হলে তা আমাদের ক্ষুধা হরমোনের দৈনন্দিন ওঠানামাকে ব্যাহত করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে।
২. ঘুমের ঘাটতি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার কিছু দিককে অ্যালকোহলের নেশার মতো প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া আরেকটি গবেষণায় দেখা যায়, ভালো ঘুম সমস্যা সমাধানের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করতে সহায়তা করে।
৩. ঘুমের মান ও সময়কাল স্বাস্থ্যের ওপর অনেক প্রভাব ফেলে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে রক্তচাপ এবং হার্টের কার্যকারিতা খারাপ হয়। এর ফলে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা রাতে পর্যাপ্ত ঘুমায় না তাদের হৃদরোগ বা স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
৪. রাতে ভালো ঘুম হলে তা আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে। কারণ রাতে কম ঘুম হলে তা রক্তে শর্করাকে প্রভাবিত করে এবং ইনসুলিন সংবেদনশীলতা হ্রাস করে। এর ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। যুবকদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, টানা ৬ রাত ৪ ঘণ্টা করে ঘুমানোর ফলে তাদের ডায়াবেটিসের উপসর্গ দেখা দিয়েছে।
৫. মানসিক স্বাস্থ্যের মতোই বিষন্নতা ও হতাশাও ঘুমের ওপর নির্ভর করে অনেকটাই। রাতে ভালো ঘুম হলে তা আপনার হতাশা ও বিষন্নতা কমাতে পারে। #