রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচন, সাম্ভাব্য প্রার্থীদের আগাম গণসংযোগ

রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভাসহ এবছর ডিসেম্বরে ২৩৪টি পৌরসভায় ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এমন আগাম আভাসে শুরু হয়েছে রাণীশংকৈল পৌরসভা
নির্বাচনে সাম্ভাব্য প্রার্থীদের নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে দৌড়ঝাঁপ।
সরেজমিন গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে দেখা গেছে, দলীয় ও স্বতন্ত্র পরিচয়ে অনেকে এলাকায় ব্যপক গণসংযোগ শুরু করেছেন।
পৌরশহরের অনেকেই জানান, নিজ নিজ দলের ও জনগণের মন জয়ে দ্বারে দ্বারে আগাম ছুঁটছেন তারা।
এছাড়াও পৌরশহরের দোকানে দোকানে আড্ডা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়াসহ বিভিন্ন কৌশলে পৌরসভার মানুষদের নিকট পৌছানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।
এদিকে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে সাম্ভাব্য প্রার্থীরা ছুঁটছেন আর ভালভাবেই নড়েচড়ে বসেছেন প্রার্থীরা।
নির্বাচন অফিস ও স্থানীয় স‚ত্র জানায়, দেশের ৩০০ পৌরসভার মধ্যে গত ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর একযোগে ২৩৪টিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তালিকায় পৌরসভার মধ্যে রাণীশংকৈলও রয়েছে। নির্বাচন কমিশন মেয়াদোত্তীর্ণ হতে থাকা এসব পৌরসভায় আগামী ডিসেম্বরে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এই ঘোষণা আসার পরপরই ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে বেশ সরব হয়েছেন। এই সংখ্যা ২০ জনেরও অধিক মেয়র এবং শতাধিক প্রার্থী বলে জানা গেছে। প্রধান দুটি
রাজনৈতিক দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীরা নানাভাবে তাদের প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছেন। অনেকে ফেসবুকে প্রচার শুরু করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনে নেবেন অনেক প্রার্থী এমন কথা বলে মাঠে ভোটারদের সাথে মতবিণিময় শুরু করেছেন।
বিএনপির প্রার্থীরাও চেয়ে আছেন সিদ্ধান্তের দিকে। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে পৌরসভায় সাম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মুখ খুলেছেন-ক্ষমতাশীল আওয়ামীলীগ দলের (বর্তমান মেয়র ও যুবলীগ সভাপতি) আলমগীর সরকার,সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মুক্তারুল আলম মুক্তা, পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর সরকার ও  সাধারণ সম্পাদক রফিউল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগ সাবেক যুগ্ন সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব, পরীক্ষিত ছাত্রনেতা ও বর্তমান উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নওরোজ কাউসার কানন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোর ছাত্রনেতা রোকোনুল ইসলাম ডলার, সাবেক ছাত্রনেতা মোস্তাফিজুর রহমান ও পুঁজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক ছাত্রনেতা সাধন বসাক।
এদিকে বিএনপি থেকে উপজেলা পৌরসভাপতি শাহজাহান আলী, পৌর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলী ও ছাত্রদলের সভাপতি বকুল মজুমদারের নাম এসেছে। সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাবেক মেয়র মোকলেসুর রহমান
আপাতত একাই লড়বেন এমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে পৌরনির্বাচনে জামাতের প্রার্থী হিসেবে মোকারম হোসেনের নাম শোনা যাচ্ছে। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইস্তেকারও থেমে নেই । নির্বাচনে তিনি বেশ এগিয়ে। আবার গুনঞ্জন রয়েছে রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তাজুলইসলামের প্রার্থী হবার কথা। তার নামও বাদ পড়ছেনা পৌরবাসীর কাছ থেকে। তবে নির্বাচনের আগেও আরো প্রাথীর ঘোষণা আসতে পারে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।
আগামী পৌরসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, এখন পর্যন্ত কোনও নির্দেশনা আসেনি। অনেকেই দলীয় প্রার্থী হতে চাইছেন জনসংযোগও করছেন। তবে কেন্দ্র থেকে যেভাবে নির্দেশনা দেবে, সেভাবেই কাজ করা হবে।
উপজেলা বিএনপির নেতারা বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, পৌর নির্বাচনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হলে আমরা আলোচনার  মাধ্যমে প্রার্থিতার বিষয়টি জানাবো।
রাণীশংকৈল নির্বাচন কর্মকর্তা আঁখি সরকার বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মেয়াদ শেষ হতে চলা রাণীশংকৈল পৌরসভার নির্বাচনের ব্যাপারে আমার কাছে কিছু তথ্য নিয়েছে । তবে কাগজে কলমে এখনও কোনও নির্দেশনা আসেনি। নির্দেশনা এলে প্রস্তুতি নেওয়া
হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি সফিকুল ইসলাম শিল্পী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.