রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি: ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনকে ঘিরে নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী ও কম্পিউটার মার্কার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন।
আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) দিবাগত রাতে পৌর এলাকার ৬নং ওয়ার্ডের রংপুরিয়া মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
জানা গেছে রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনের প্রচারণাকে কেন্দ্র করে আজ বুধবার রাতে ৬নং ওয়ার্ডের রংপুরিয়া মার্কেটে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক ফুল মিয়ার সাথে কম্পিউটার প্রার্থীর সমর্থকদের বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে মারপিটের ঘটনা ঘটে । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এর পরেই নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাকের সমর্থকদের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী রফিউল ইসলামের সমর্থকদের মারপিট বাধে।
এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক মারপিটের ঘটনায় ৫ জন আহত হয়ে রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি হয়।
অপর পক্ষেরআহতরা হলেন: কম্পিউটার প্রতীক সমর্থক উত্তর ভান্ডার গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে আজহারুল ইসলাম (৬৫) ও তার ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫)। মধ্য ভান্ডারা গ্রামের নাজিমের ছেলে মতিউর রহমান (৪৫) এবং মতিউরের স্ত্রী মিশিরণ বেগম (৩৫)।
নৌকার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বিটিসি নিউজকে বলেন, ৩ এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রংপুরিয়া মার্কেটে আমার সমর্থকদের নির্বাচন করার সময় কম্পিউটার প্রতীক রফিউল ইসলামের সমর্থকরা বিভিন্নভাবে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে। আজকে তারা আমার কর্মীর উপর হাত তুলেছে। তার মাথায় আঘাত করে গুরুতর অবস্থায় যখন করা হয়েছে । তাকে আমরা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছি। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। এই স্বতন্ত্র (বহিস্কৃত) প্রার্থীরা নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।
কম্পিউটার প্রতীক মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছি । নৌকার জনপ্রিয়তা না থাকায় তারা আমার অফিস ভাঙচুর করেছে। সেইসাথে চারজনকে মেরে আহত করেছে।সবাই হাসপাতালে ভর্তি আছে ।
রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বিটিসি নিউজকে বলেন, ওই এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.