আরএমপি প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানার তেতুলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অভিযান পরিচালনা করে ৪শ গ্রাম গাঁজাসহ ২ জন; চন্দ্রিমা থানার মুশরইল ঈদগাহ মাঠের সামনে ৫২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১ জন এবং কাটাখালি থানার শ্যামপুর আবহাওয়া অফিসের সামনে চেকপোষ্টে ১শ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ১ জন কে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি’র কর্ণহার, চন্দ্রিমা ও কাটাখালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো- মো: মোবারক হোসেন (২৩); মো: আনারুল ইসলাম (৫৩); মো: সোহাগ মাহমুদ (২৪) এবং মো: সম্রাট আলী (৩০)। মোবারক রাজশাহী মহানগরীর কর্ণহার থানার দর্শনপাড়া নামোপাড়া গ্রামের মো: আব্দুল ওহাবের ছেলে। আনারুল একই থানার দর্শনপাড়া চৌকিপাড়া গ্রামের মৃত লাল মোহাম্মদের ছেলে। সোহাগ মাহমুদ রাজশাহী জেলার মোহনপুর থানার খয়রা গ্রামের মো: আশরাফুল দেওয়ানের ছেলে এবং সম্রাট রাজশাহী মহানগরীর কাটাখালি থানার শ্যামপুর মোল্লাপাড়া গ্রামের মো: বাদশা আলীর ছেলে। বর্তমানে সম্রাট মতিহার থানার মৌলভী বুধপাড়া এলাকায় বসবাস করেন।
গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রি.) রাত পৌনে ১১টায় অফিসার ইনচার্জ মো: হাবিবুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই ইমরান হোসেন ও তার টিম কর্ণহার থানার কুপেরহাট এলাকায় দায়িত্ব পালন করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তেতুলডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গাঁজা বিক্রির প্রস্তুতিকালে মোবারক ও আনারুল নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেন। পরবর্তীতে তাদের দেহ তল্লাশি করে মোবারকের কাছ থেকে ৩শ গ্রাম গাঁজা ও আনারুলের কাছ থেকে ১শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা স্বীকার করেন যে, তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে গাঁজা নিজের কাছে রেখেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যাবসার সঙ্গে জড়িত। আসামি মোবারকের বিরুদ্ধে আরএমপি’র কর্ণহার থানায় ৩টি এবং আসামি আনারুলের বিরুদ্ধে একই থানায় ১টি মামলা চলমান রয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রি.) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুল ইসলামের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই মো: রওশন আলম ও তার টিম চন্দ্রিমা থানার বারো রাস্তার মোড়ে দায়িত্ব পালন করাকালীন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মুশরইল ঈদগাহ মাঠের সামনে ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রির প্রস্তুতিকালে সোহাগ মাহমুদ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেন। পরবর্তীতে তার দেহ তল্লাশি করে ৫২পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি স্বীকার করেন যে, সে বিক্রির উদ্দেশ্যে ইয়াবা ট্যাবলেট নিজের কাছে রেখেছিলেন এবং দীর্ঘদিন ধরে ভ্রাম্যমাণ হিসেবে মহানগীর বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে আসছেন।
এদিকে, গতকাল শনিবার (১৩ ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রি.) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় অফিসার ইনচার্জ মো: সুমন কাদেরীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে এসআই মো: নাদিম উদ্দিন ও তার টিম কাটাখালি থানার চেয়ারম্যানের মোড়ে দায়িত্ব পালন করাকালীন গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, কাটাখালি থানার আজিজুলের মোড় হতে আবহাওয়া অফিসের দিকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ একজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে আসছে।
প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে থানা পুলিশের ঐ টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে চেকপোস্ট স্থাপন করে মোটরসাইকেলযোগে আসা সম্রাট আলী নামে এক ব্যক্তিকে থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে ১শ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত আসামি স্বীকার করেন যে, সে বিক্রির উদ্দেশ্যে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিজের কাছে রেখেছিলেন এবং মোটরসাইকেলে পরিবহন করছিলো।
গ্রেপ্তারকৃত সকল আসামির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক পৃথক মামলা রুজু করা হয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সংবাদ প্রেরক মো: গাজিউর রহমান, পিপিএম, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত), রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। #















