রাজশাহী মহানগরীতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা নগরী রাজশাহী তে কঠোর অবস্থানে সেনাবাহিনী।রাজশাহীতে চলছে অঘোষিত লকডাউন। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। তার পরেও নগরীর রাস্তায় লোকজনকে চলাচল করতে দেখা গেছে। কারো কারো প্রয়োজনিয় কাজ থাকলেও বেশির ভাগেরই কাজ নেই। তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিভিন্ন অজুহাত তুলে ধরছেন।

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গতকাল বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) লোকজনকে ঘরবন্দি রাখতে কঠোর অবস্থান নিয়েছিল সেনাবাহিনী।যা আজও অব্যহত রয়েছে। নগরের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে লোকজনের চলাচলে নজরদারি করছেন সেনাসদস্যরা। যারা বাইরে বের হয়েছেন তারাই পড়েছেন জেরার মুখে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সেনাবাহিনী। যারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার (১ এপ্রিল) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর থেকে জানানো হয়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর হচ্ছে সেনাবাহিনী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে তারা।

জরুরি এই বার্তায় বলা হয়, সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার থেকে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তার অংশ হিসেবে দেশের সব স্থানে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং হোম কোয়ারেন্টাইনের বিষয়টি কঠোরভাবে নিশ্চিত করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট এলাকায় দেখা যায়, জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে একটি অস্থায়ী লেন তৈরি করে সেনা সদস্যরা। এতে রিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে সারিবদ্ধভাবে চলাচল করছে। এছাড়া যারা মাস্ক না পড়ে বাইরে আসছেন তাদের বিভিন্নভাবে বোঝাচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

রাজশাহী জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, করোনা ভাইরাস ঠেকাতে প্রত্যেককেই আরও কিছু দিন খুব সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। তাই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করাটাই এখন বড় কাজ। এজন্য শহর ছাড়াও উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাঠে রয়েছে। এছাড়া সেনা সদস্যদের সহযোগিতায় বিষয়টি নিশ্চিত করারও চেষ্টা চলছে। অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করছেন বলে উল্লেখ করেন রাজশাহী জেলা প্রশাসক।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.