রাজশাহী মহানগরীতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী নিধনে কার্যক্রম নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ নগরবাসী। মশার উপদ্রব এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যাতে করে মশার হাত থেকে বাঁচতে স্বাস্থ্য ঝুঁকি জেনেও মানুষ কয়েল এবং অ্যারোসলসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর রাসায়নিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।

অন্যদিকে মশা নিধনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কোন কার্যক্রম নজরে আসছে না নগরবাসীর।

মশা নিধন কার্যক্রম বিষয়ে রাসিকের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ মামুন ডলারের সাথে কথা বললে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, আগামী দুই সপ্তাহ পর নিধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। তবে যদি দেখা যায় মশার উপদ্রব বেশি বেড়েছে তাহলে আগেই তা শুরু করা হতে পারে।

তিনি আরও জানান, লার্ভা নিধন কার্যক্রম সারা বছরই চলমান থাকে। তবে উড়ন্ত মশা মারার জন্য ফগার মেশিনের ব্যবহার হয়। ওষুধ বিষয়ে তিনি জানান, ওষুধ মজুদ আছে।

এদিকে রাসিকের একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে কর্পোরেশনে মশার ওষুধ মজুদ নেই। এ কারণে মশা নিধন কার্যক্রম এক প্রকার বন্ধই রয়েছে।

এদিকে মশার উপদ্রব এতটায় বেড়েছে যা সহ্য করতে পারছে না মানুষ। মশার উৎপাতে বেকায়দায় পড়েছে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছাত্র-ছাত্রীরা।

মশার যন্ত্রণা থেকে রক্ষা পেতে মানুষ কয়েল, অ্যারোসল, ভ্যাপোরাইসার, ম্যাটসহ বিভিন্ন রাসায়নিক পদ্ধতির দারস্থ হচ্ছে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও ক্ষতিকর দিক জেনে অথবা না জেনেই এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই এসব ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন মানুষ।

দেশের সর্বত্র বিভিন্ন দোকানে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ধরন এবং ব্র্যান্ডের কয়েল, অ্যারোসল, ভ্যাপোরাইসার ও ম্যাট বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।

বিভিন্ন বিজ্ঞান গবেষণাপত্রে প্রকাশিত তথ্য মতে মশা নিরোধক এসব পণ্য ব্যবহার করার সময় নির্ধারিত মাত্রা বজায় রাখতে হবে।

কয়েল, ম্যাট ও ভ্যাপোরাইসার ব্যবহারের সময় ঘরের জানালা খোলা রাখতে হবে, যাতে ঘরে বিষাক্ত ধোঁয়ার আধিক্য বৃদ্ধি না পায়। অ্যারোসল ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রয়োগের সময় কক্ষ নির্দিষ্ট সময় (প্রায় আধা ঘণ্টা) জন-মানুষ শূন্য রাখতে হবে।

গবেষণায় প্রকাশিত তথ্যমতে, এসব সতর্কতা অবলম্বন না করলে এবং দীর্ঘ মেয়াদে এসব ব্যবহার করলে অ্যাজমা, অ্যালার্জি, বন্ধ্যাত্বসহ স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

বিশেষ করে শিশুরা সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। বাজারে যেসব কোম্পানির কয়েল, অ্যারোসল, ভ্যাপোরাইসার ও ম্যাট বেশি বিক্রি হয়, প্রায় সবগুলোরই বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হয় বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে। এসব বিজ্ঞাপনে মশা তাড়াতে বিভিন্ন চমকপ্রদ কথা থাকলেও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি ও এর থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কিত কোনো নির্দেশনা থাকে না।

অনেক ভোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েলের কার্যকারিতার জন্য তারা নির্দেশনা অনুসরণ করেন না। আবার অনেক ভোক্তা সতর্কতা অবলম্বনের বিষয়টি জানেন না বলেও জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের অভিমত একই। তারা কেনেন বিক্রি করেন ভাল মন্দ বোঝার বিষয়টি তাদের জানার কথা নয়।

মশার বৃদ্ধিতে শুধু মানুষই নয়, গৃহপালিত পশুরাও নেই স্বস্তিতে। মশার জ্বালাতনে নগরবাসী বিরক্ত হয়ে উঠেছে। শীত কমে আসার সাথে বাড়ছে মশার উপদ্রব। মশার জালাতনে শিশু, বৃদ্ধ এবং অসুস্থরা সবচেয়ে বেশি বেকায়দায় পড়ছে।
মশার উপদ্রব নিরসনে নগরবাসী অবিলম্বে রাসিক কতৃপক্ষের কার্যকর উদ্যোগ কামনা করেছেন।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃমাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.