আরএমপিপ্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে বিদেশী পিস্তল-শটগান ও গুলি-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। এসময় আসামিদের কাছ থেকে ৩টি ম্যাগজিন, ৩২ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড গুলির খোসা-সহ ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৯০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড গুলির খোসা-সহ ১টি শটগান এবং একটি প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ৭ আগস্ট ২০২২ (৬ আগস্ট দিনগত রাত)-এ বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই মো: আবু হায়দার ও তার টিম থানা এলাকায় টহল ডিউটি করছিলো। আনুমানিক রাত ১.২০ টায় জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এর কলের মাধ্যমে গোলাগুলির খবর পেয়ে বোয়ালিয়া থানা পুলিশের ঐ টিম নগরীর রানীবাজারের জনৈক কালুর বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়। সেখান হতে পুলিশ আসামিদের ফায়ার করা গুলির খোসা জব্দ করে। স্থানীয়রা জানায়, দুইজন লোক গুলি করে কার নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আরএমপি পুলিশ কমিশনার জনাব মো: আবু কালাম সিদ্দিক মহোদয় আসামিদের গ্রেফতারে অফিসার ইনচার্জকে থানার বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট স্থাপনের নির্দেশ দেন।
পরবর্তীতে রাত পৌনে ৩ টায় হোসনীগঞ্জ জাদুঘরের সামনে একটি কালো রংয়ের কার দেখে চেকপোস্ট পার্টি কারটি থামানোর জন্য সংকেত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা কারের ভিতর থেকে চেকপোস্ট লক্ষ্য করে ১ রাউন্ড গুলি করে দ্রুত গতিতে কারটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে সেই কালো রংয়ের কারটিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে ঐ টিম। আরএমপি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিটের সহায়তায় কালো রংয়ের কারটির অবস্থান জানা যায়।
সাইবার ক্রাইম ইউনিটের দেয়া তথ্য মতে, এসআই মো: আবু হায়দার ও তার টিম উপ-শহর এলাকায় কর্ডন ও তল্লাশী শুরু করেন। পরবর্তীতে তারা রাত সাড়ে ৩ টায় রাজশাহী উপ-শহর, ৩ নং সেক্টরের ৪ নং রোডের ১৭৭ নম্বর বাসার গ্রাউন্ড ফ্লোরে কালো রংয়ের কার পার্কিং অবস্থায় দেখতে পায়। গার্ডের মাধ্যমে জানতে পারে কিছুক্ষণ আগে কারের মালিক ও তার সহযোগী কারটি পার্কিং করেছে।
পরবর্তীতে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের ঐ টিম সেই বাড়ির ৪র্থ তলায় প্রবেশ করে আসামি ওয়াহিদ মুরাদ জামিল ওরফে লিংকন ও মো: সজল আলী-কে আটক করে। এরপর বাড়িটি তল্লাশী করে ৩টি ম্যাগজিন, ৩২ রাউন্ড গুলি ও ৬ রাউন্ড গুলির খোসা-সহ ১টি বিদেশী পিস্তল এবং ৯০ রাউন্ড শটগানের গুলি ও ১২ রাউন্ড গুলির খোসা-সহ ১টি শটগান উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত প্রাইভেট কারটি জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজু হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.