রাজশাহী মহানগরীতে তরমুজসহ ফলের দাম আকাশচুম্বী

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করেই বেড়ে দ্বিগুনের বেশি হয়েছে তরমুজের দাম। খুচরা ৫৫/৬০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে,যা ইতিপূর্বে তরমুজের এমন দাম চোখে পড়েনি বলে জানান তরমুজ কিনতে আসা এক ক্রেতা।
থেমে নেই অন্যান্য ফলও। রমজানের শুরু থেকেই সময়ে বৈশাখের তাপদাহের সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অন্যান্য ফলের দামও। এক থেকে দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি তরমুজের দাম ২০ থেকে ২৫ টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তাহে নগরীর বাজারগুলোতে তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি। এখন সেই তরমুজ বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এতে রমজানের এ সময়ে তরমুজসহ অন্যান্য ফলের স্বাদ নিতে পারছে না নিম্ন আয়ের মানুষ।
ক্রেতাদের অভিযোগ, সিন্ডিকেট করে রাজশাহীর ফল ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়েছেন। তরমুজের ধারে কাছেও যাওয়া যায় না। এছাড়া আপেল, কমলা, পেয়ারা, কলা, বেল, বাঙ্গির দামও অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়তি। বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকলেও সংকটের কথা বলে দাম বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রতিবারই রোজার সময় ফলের কদর বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। আর এ সুযোগকেই কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। বাজারে এখন তরমুজের শেষ চালান আসছে। তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর শেষের দিকে দাম কিছুটা বেশিই থাকে। আর অন্যান্য ফলের দাম কিছুটা বেড়েছে। আসলে পাইকারি তাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে।
রাজশাহীর শহরের সবচেয়ে বড় তরমুজের মোকাম হচ্ছে শালবাগান বাজার। শালবাগানসহ নগরীর ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা গেছে, সব ধরনের তরমুজের দামই বেশি। মাঝারি আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৩শ থেকে ৫শ টাকায়। দাম বেশি হওয়ায় অনেক বিক্রেতারা তরমুজ কয়েক টুকরা করে খুচরা বিক্রি করছেন। যে তরমুজটি মোটামুটি টাটকা সেই তরমুজটি ৬০ টাকা কেজির নিচে রাখা হচ্ছে না। আর যেই তরমুজটি এক বা দুই সপ্তাহ আগের আনা সেগুলো ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর উপশহর নিউমার্কেট এলাকার ফলের দোকানের কর্মচারী জানান, তারা প্রতিকেজি তরমুজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রে করেছেন। যেটা রমযানের আগে ছিলো ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। তারা শালবাগান এলাকা থেকে পাইকারি তরমুজ কেনেন। তাদেরকে বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে।
এদিকে বাজারে প্রতিকেজি আপেল ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা, কমলা ১৯০ থেকে ৩০০ টাকা, পেয়ারা ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী আঞ্চলিক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, রাজশাহীতে কিছু জমিতে তরমুজের আবাদ হয়। তরমুজ বরিশাল, খুলনা এসব এলাকা থেকে রাজশাহীতে আসে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম এখন তরমুজ প্রায় শেষের পথে। একারণে হয়তো দাম বেশি।তাছাড়া পরিবহন বন্ধ থাকায় পরিবহন খরচ অনেক বেশি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.