রাজশাহী মহানগরীতে করোনায় থেমে নেই ইদ মার্কেট, স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: পৃথিবীর কোন কিছুই থেমে থেকে না। করোনায় থেমে নেই ইদ মার্কেট। বেশীর ভাগ মানুষ মানছে না স্বাস্থ্যবিধি, দেখাচ্ছে গরমসহ নানা ধরনের অজুহাত। মহানগরীতে শপিঙের জন্যে সবচেয়ে জমজমাট সাহেববাজার। 
করোনার মহামারি দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশের সাথে রাজশাহীতেও চলছে লকডাউনে। কিন্তু ২৫ এপ্রিল নগরীর সকল বাজারগুলো খুলে দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বাজারে ক্রেতাদের বেড়েছে ভিড়। পথচারী সবাই মাস্ক পরছে না। মাস্ক হাতে নিয়ে ঘুরা-ঘুরি করছে অনেকে। তবে কারো মধ্যেই গত ঈদের মত করোনা ভীতি দেখা যাচ্ছে না।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রতিনিয়ত দূরত্ব বজাইয়ের জন্য দিচ্ছেন নির্দেশনা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, দোকানগুলোতেও বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতারাও করছেনা মাস্ক ব্যবহার। আর করলেও নেই সামাজিক দূরত্ব। দোকানগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিষয়টা প্রথম দিকে থাকলেও বর্তমানে অনেক দোকানে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর ব্যবহার। সোশ্যাল ডিসটেনস মেনটেইন হচ্ছে না। বাজারে মুদি দোকানি, কাঁচাবাজারসহ সকল ক্ষুদ্র জায়গা দেখা মিলেছে ভিড়ের সমাহার। মোদ্দা কথা দেশের জনসংখ্যা বেড়েছে।সব জায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ। এছাড়াও রাস্তার পাশে কিছু দোকানে ইফতার বিক্রি হয়। সেখানে যারা ইফতার বিক্রি করেন তারাও স্বাস্থ্যবিধি তেমন মানছে না। সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছে, ইদে তো কিছু কেনাকাটা করতে হবে! বাসায় ছেলে মেয়ে আছে তাদের নতুন জামা-কাপড় না দিয়ে উপায় নেই। তাই বিপদ জেনেও সতর্ক হয়ে বের হচ্ছি। মাস্ক পরছি কিন্তু এতো গরমের জন্যে মাস্ক ব্যবহার করতে কষ্ট হচ্ছে। আবার অনেকে বলছে, শ্বাস কষ্ট আছে তাই পরলেও আবার খুলে ফেলেছি।
দোকানদাররা বলছে, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলছি। ইদের সময় কেনাকাটা সন্ধ্যার পর থেকে ক্রেতাদের ভিড় হয়। কিন্তু গরমে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা। অনেকেই নিজে থেকেই সতর্ক থাকছে। আবার অনেকে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। এছাড়াও যারা মানছেন- তারা অনেকেই দোকানে ভিড় দেখলেই ফিরে যাচ্ছে। বাজারে ভিড় থাকলেও দোকানে তেমন কোনো বিক্রি নেই। আমরা ক্রেতাদের ফাঁকা হয়ে পণ্য ক্রয় করতে বলছি। আবার প্রশাসনের লোক আসলেও মাইকিং করে সচেতনার কথা বলছেন।
কাঁচাবাজারে দেখা যায়, অনেকেই মাস্ক না পরে বিক্রয় করতে ব্যস্ত। প্রশাসনের লোক আসলে মাস্ক পরছে। তারা চলে গেলে মাস্ক খুলে বিক্রয় করছে।
শহীদুল নামে এক ক্রেতা জানান, এই মহামারি সময় বাইরে বের হওয়া ঠিক না। কিন্তু প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্যে বাজারে আসতেই হচ্ছে। বাজার খুলে দিয়েছে এটাই অনেক, তারপর আমরা যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলি এটা আমাদের জন্যে ক্ষতি। শনাক্ত বেশি হলে হয়তো আবারও লকডাউন দিবেন তখন এটুকুও ক্রয়-বিক্রয় করতে সমস্যা হবে, এটা সবাই কে বুঝতে হবে
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.