রাজশাহী নগরীর পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ দেশবরেণ্য গুণীজনেরা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: রাজশাহী মহানগরীর পরিচ্ছন্নতা, উন্নয়ন ও সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়েছে নগরীতে আগত দেশবরেণ্য গুণীজনেরা। নগরী ঘুরে দেখেছেন, জানিয়েছেন তাঁদের মুগ্ধতার কথাও।
শুক্রবার বিকেলে নগরীর টি-বাঁধ ও পদ্মানদীতে নৌভ্রমণ করেন সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি. এম খায়রুল হক বলেন, রাজশাহীতে ২০১৫ সালে এক বার এসেছিলাম। এবার এসে দেখছি আমূল পরিবর্তন। রাজশাহীর দৃশ্যমান এই উন্নয়ন প্রমাণ করে সঠিক নেতৃত্বেই রাজশাহী সহ পুরো দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, রাজশাহী সবুজে বিবর্তিত। নিজ চোখে দেখে যেতে পারলাম কী করে একটি নগর জীবন্ত ও সজীব হয়ে ওঠছে। পুরো দেশ ঘুরে দেখুন এমন পরিচ্ছন্ন ও সুবজ নগরী গড়ে তুলতে পারছি না। রাজশাহী সবুজ ও গণমুখী নগর হিসেবে গড়ে উঠছে। জীবন আর শিক্ষা কখনো আলাদা হতে পারে না। রাজশাহী আদী শিক্ষা নগরী। এখন এর সাথে যুক্ত হচ্ছে পকিল্পিত আধুনিকতা।
প্রখ্যাত সাংবাদিক আবেদ খান বলেন, রাজশাহীর প্রতি পদে পদে ইতিহাস কথা বলে। রাজশাহীর গম্ভীরা দেশের সংস্কৃতির অঙ্গনে আলাদা মাত্রা এনে দিয়েছে। যতবার এই রাজশাহীতে এসেছি এই শহরের প্রতি ভালোবাসা ততোই বেড়েছে। রাজশাহী প্রতিটি গুণিমানুষের জন্য নগর উদ্যান। রাজশাহী সবুজ এবং চিরতরুণ নগরী।
শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখন অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী রাজশাহীকে প্রশান্তির নগরী উল্লেখ করে বলেন, ১৮৯২ এর নভেম্বরে রাজশাহী শহরে এসেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপর ১৯২৮ সালে আরেকবার আসেন তিনি। এসময় তার সাথে ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি যতবার রাজশাহীতে এসেছেন ততোবার তিনি রাজশাহীর নদী-প্রকৃতি দেখে মুগ্ধ হয়েছেন, তার মন ভালো হয়েছে। রাজশাহীর ঐতিহ্যেও সাথে জুড়ে রয়েছে শিক্ষানগরীর খেতাব। অক্ষয়কুমার মৈত্রেয় রাজশাহীর সন্তান। ইতিহাস ঐতিহ্যের নগরী রাজশাহী। এই শহরে যে একবার এসেছে সে আর ফিরে যেতে পারেনি। শহরের প্রেমে তারা পরিবার নিয়ে এখানেই বসত গড়ে তুলেছেন। এই ভূমিতে জন্মেছেন রাজশাহীর কৃতি সন্তান শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হেনা। রাজশাহীকে বিশ^দরবারে তুলে ধরতে এই মানুষটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নগর ভবনে গ্রিনপ্লাজায় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের আয়োজনে দেশবরেণ্য ৬ জন কর্মকৃতীময় গুণীজনকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
সংবর্ধিত গুণীজনেরা হলেন, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান বিচারপতি এ.বি.এম খায়রুল হক, আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এ.টি.এম ফজলে কবীর, বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, লেখক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান, প্রখ্যাত সাংবাদিক, কলামিস্ট ও লেখক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবেদ খান এবং শিক্ষাবিদ, নাট্যকার ও লেখক অধ্যাপক রতন সিদ্দিকী। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিত্রশিল্পী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দিন আহমেদ অনুপস্থিত থাকায় তাঁর নিকট প্রেরণের জন্য তাঁর প্রতিনিধিকে উত্তরীয়, ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা স্মারক প্রদান করা হয়।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.