নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর খানকার মোড় এলাকার একটি আমবাগানে জুয়ার রমরমা কারবার চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নগরীর চন্দ্রিমা থানার ১২রাস্তার মোড়ে পাশে খানকার মোড় এলাকায় একটি আমবাগানে একদল জুয়াড়ী জুয়া খেলছে।
স্থানীয়রা জানায়, এই জুয়ার বোর্ডটি নিয়ন্ত্রণ করছে জনৈক গিয়াস, মুক্তা ও মিলননামের তিনজন ব্যক্তি। তারা সকলেই চন্দ্রিমা থানা এলাকার বাসিন্দা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একধিক স্থানীয়রা জানায়, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র/জনতার গণঅভ্যুথানের পর থানা পুলিশ পাড়া মহল্লায় তেমন একটা অভিযানে যায় না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পাড়া মহল্লায় মাদক, জুয়া-সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার তরুণ ও যুবকেরা।
এই সকল অপরাধের মধ্যে অন্যত্তম হলো জুয়া। জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী মিলনরা ভয়ংকর প্রকৃতির হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা। যদি কেউ সাহস করে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলে তাহলে যে কোন সময় ভংঙ্কর বিপদ হতে পারে।
তারা আরও বলেন, এলাকার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ ওই জুয়ার বোর্ডে জুয়া খেলে হচ্ছেন সর্বশান্ত। আর পকেট ভরছে মিলনদের। জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন জুয়াড়িদের পরিবারে অশান্তি নিত্য দিনের ঘটনা। কাজ শেষে বাড়ি ফিরে লোকজন তার পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরুণ করেন। কিন্তু জুয়াড়িরা বাড়িতে সংসার খরচ না দিয়ে দ্বিগুণ মুনাফার আশায় জুয়ার বোর্ডে গিয়ে জুয়া খেলে সর্বশান্ত হয়। পরে বাড়িতে গিয়ে যখন সংসার খরচ চায় তার স্ত্রী, কণ্যা ও ছেলে, তখন দেখা যায় চিৎকার চেচামেশি ঝগড়া মারধরের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই মিলনদের জুয়ার বোর্ড বন্ধে আরএমপি পুলিশের পুলিশ কমিশনার মহাদায়ের কঠোর হস্তক্ষেপ দাবি করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যপারে জানতে চাইলে আরএমপি পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর ক্রাইম এন্ড অপস), মোঃ গাজিউর রহমান, পিপিএম। তিনি বলেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটনের মধ্যে জুয়ার বোর্ড চালানোা কোন সুযোগ নাই। জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী যেই হোক, সঠিক তথ্য পেলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.