রাজশাহী টিটিসি’র চোর এখনও ধরা পড়েনি

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টারের (টিটিসি) কম্পিউটার ল্যাবে রহস্যজনক চুরির ১২ দিন পেরিয়ে গেলেও চোর শনাক্ত হয়নি। তাই তাকে আইনের আওতায় আনাও সম্ভব হয়নি। পুলিশ বলছে, চুরির এই ঘটনার সঙ্গে টিটিসিরই কেউ জড়িত। তাই শতভাগ নিশ্চিত হয়েই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।
গত ২১ মার্চ সন্ধ্যা থেকে ২২ মার্চ ভোরের মধ্যে টিটিসির কম্পিউটার ল্যাবে রহস্যজনক ওই চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা ল্যাবের ২৯টি কম্পিউটারের সিপিইউ’র ভেতর থেকে যন্ত্রাংশ খুলে ফেলে। র‌্যাম, হার্ডডিস্ক, প্রসেসরসহ অন্যান্য সামগ্রী খুলে রাখা হয় ল্যাবের শৌচাগারের ফলস ছাদের ওপর।
২২ মার্চ বিকালে প্রশিক্ষণার্থীরা ল্যাবে গেলে চুরির বিষয়টি জানাজানি হয়। এ নিয়ে রাতেই মামলা করেন টিটিসির অধ্যক্ষ এসএম এমদাদুল হক। পরদিন সন্ধ্যায় শৌচাগারের ছাদ থেকে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও অনেক যন্ত্রাংশ পাওয়া যায়নি।
টিটিসির অধ্যক্ষ এসএম এমদাদুল হক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে  বলেন, আমাদের ৯০ ভাগ যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। বাকি ১০ ভাগ যন্ত্রাংশ খোয়া গেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, আমরা পুলিশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছি। আমরা চাই চোরটা ধরা পড়ুক।
জানতে চাইলে নগরীর শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম খান বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, এই চুরির ঘটনার সঙ্গে বাইরের কেউ জড়িত নয়। ভেতরেরই কেউ যন্ত্রাংশগুলো খুলে নিয়েছিল। একসঙ্গে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। সুবিধামত সময়ে পর্যায়ক্রমে যন্ত্রাংশগুলো নিয়ে যাওয়া হতো। এমন পরিকল্পনা করে চুরির বাইরের কারও কাজ নয়।
ওসি বলেন, আমরা ইতোমধ্যে টিটিসির অন্তত ছয়জন কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। কিন্তু চুরির সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে কাউকে আটক করা ঠিক হবে না। আমাদের তদন্ত কাজ চলছে। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যেই চোরকে গ্রেপ্তার করে প্রকাশ্যে আনা হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.