রাজশাহী জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী মনিটরিং অফিসারের জমি বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে টালবাহানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারী মনিটরিং অফিসার অহিদুল ইসলামের গ্রামের বাড়ির জমি বুঝিয়ে দেয়া নিয়ে টালবাহানা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অহিদুল বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামে। চাকরীর সুবাদে তিনি বিভিন্ন স্থানে বসবাস করায় বাড়িতে তার থাকা হয়না। এখন রাজশাহীতে চাকরীর সুবাদে তিনি নগরীর নিমতলার মোড়ে বসবাস করছেন।

এই সুযোগে একই গ্রামের মোকতার হোসেন নামের এক ব্যক্তি তার নিজস্ব সম্পত্তি জেলা পাবনা, উপজেলা সুজানগর, মৌজা-গোপালপুর, তপশিল সম্পতি, এস.এ খতিয়ান নং-১০১, দাগ নং-৮৬, আর.এস খতিয়ান নং-১৭৬, দাগ নং-১৯২, মোট জমির পরিমান-৩৯ শতাংশ। এর মধ্যে থেকে মোকতার অবৈধভাবে ১৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে স্থাপনা করে নিয়েছে।

অহিদুল বলেন, এই সম্পত্তি নিয়ে ৩০-০৩-২০০৫ সালে তিনি মামলা করেন। এই মামলায় অহিদুলরা দুইটিতে রায় পান এবং একটি রায় বিপক্ষে গেলে তিনি আপিল করলে ২০১৭ সালে নিজের পক্ষে রায় পান। এরপর তিনি উচ্ছেদ মামলা করেন। এই মামলায় বিবাদির করা স্থাপনা উচ্ছেদ করে জমি দখল মুক্ত করে বুঝিয়ে দেয়ার জন্য বিজ্ঞ আদালত ২০২০ সালের ২২ মার্চ দিন ধার্য করেন বলে জানান অহিদুল।

উচ্ছেদ করার জন্য নামজারী হাসান কবির কাজলের উপর দায়িত্ব দেন। কিন্তু কবির জমি বুঝিয়ে দিতে গিয়ে বিবাদী মোকতার হোসেনের নিকট থেকে উপঢৌকন নিয়ে জমি মাপ না করে বুঝিয়ে না দিয়ে চলে আসেন বলে জানান অহিদুল। কোর্টের রায় থাকা সত্ত্বেও এ পর্যন্ত তিনি বাড়ির ভিটা জমি বুঝে পাননি।

এ বিষয়ে কবিরকে বললে নানান টালবাহানা করেন এবং পুনরায় মামলা করার কথা বলেন বলে জানান তিনি। দখলকৃত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে তার সম্পত্তি বুঝে দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট দাবী জানান অহিদুল।

জমি দখল করে রাখা এবং জমি বুঝিয়ে না দেয়ার কারণ মোবাইলে মোকতার এবং নামজারী হাসান কবির কাজলের নিকট জানতে চাইলে তারা উভয়ে মোবাইল কল রিসিভ করেননি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল করিম (বাবলুরাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.