রাজশাহী জেলা পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর পশুহাটে জোরপূর্বক তিনগুণ খাজনা আদায়ের অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলায় ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে বানেশ্বর পশুহাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিকট থেকে তিনগুণ অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার অভিযোগ উঠেছে ইজারদারের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় হাটে আগতদের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের অভিযোগ, ইজারদার স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সরকারী নিয়মনীতিকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে জোরপূর্বক অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছেন। ফলে খাজনা আদায়কারীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়ছে ক্রেতা বিক্রেতারা।
উপজেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মধ্যে একমাত্র বৃহৎ পুশু কেনা-বেচার হাট বানেশ্বর হাট। প্রতি সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার এই হাটে বসে। বিভিন্ন কৃষি পণ্যের পাশাপাশি এই হাটে গরু ও ছাগল কেনা বেচা হয় পুরোদমে। তবে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বানেশ্বর কলাহাটায় বৃহৎ পরিসরে বসে অস্থাী পশুর হাট। সরকারি নিয়ম অনুসারে কেবলমাত্র ক্রেতাদের নিকট থেকে প্রতিটি গরু কেনা বাবদ খাজনা ৫০০ টাকা আর ছাগলের ক্ষেত্রে ২০০ টাকা।
গতকাল শনিবার (১৫ জুন) বিকালে বানেশ্বর কলাহাটায় অস্থায়ী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে কয়েকটি স্থানে খাজনা আদায়ের জন্য তাঁবু বসানো হয়েছে। প্রতিটি তাঁবুতে ৩ থেকে ৫ জন খাজনা আদায়কারী পশু কেনার রশিদ দিচ্ছেন। তারা প্রতিটি গরুর জন্য ক্রেতার নিকট থেকে ৭০০শ’ টাকা ও বিক্রেতার নিকট থেকে ২০০শ’ টাকা আদায় করা হচ্ছে। অপরদিকে ছাগল হাটে ক্রেতার নিকট থেকে ৮০০শ’ টাকা আর বিক্রেতার নিকট থেকে ২০০ টাকা আদায় করছে। তবে পশু ক্রয়ের রশিদ দেয়া হলেও আদায়কৃত খাজনার কোনো রশিদ তারা দিচ্ছে না।
হাটে খাজনা আদায়কারীরা বিটিসি নিউজকে বলেন, আমরা দৈনিক মুজুরি হিসাবে পশু ক্রয়ের রশিদ দেয়ার কাজ করছি। সরকারি নিয়ম অনুসারে কোনো পশুর কত টাকা খাজনা সেটা আমাদের জানা নেই। তবে ইজারদারের নির্দেশে আমরা প্রতিটি গরুর ক্ষেত্রে মোট ৯০০শ’ আর ছাগলের ক্ষেত্রে ১০০০ টাকা খাজনা নিচ্ছি। খাজনার রশিদ দেয়া হচ্ছে না কেনো জানতে চাইলে তারা বলেন, আপনাদের যা বলার তা ইজারদারের নিকট বলেন।
হাটে আগত ভাল্লুকগাছী এলাকার গরু ক্রেতা হোসেন আলী বিটিসি নিউজকে বলেন, এই হাটে সরকারি কোনো নিয়ম চলে না। ঈদ আসলেই ইজারদারের লোকজনের নিকট ক্রেতা-বিক্রেতারা জিম্মি হয়ে পড়ছেন। এই বিষয়ে হাটে আগতরা উপজেলা প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করলেও তিনি রহস্যজনক কারণে কোনো প্রকার আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। অথচ পুরো হাটে পুলিশ প্রশাসনের লোকজন রয়েছেন। কিন্তু তারা এই অনিয়ম দেখেও না দেখার ভান করছেন।
তবে হাট ইজারদার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম বিটিসি নিউজকে বলেন, আমার জানা মতে পশু হাটের আদায়কারীরা গরুর জন্য ৫০০শ’ আর ছাগলের জন্য ২০০ টাকা নিচ্ছেন। এর বেশি অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোনো নির্দেশ আমি দেইনি। যদি কেউ নিয়ে থাকেন তা হলে তিনি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে অন্যায় করছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ,কে,এম,নূর হোসেন নির্ঝর ও সহকারী কমিশনার ভূমি দেবাশীষ বসাক বিটিসি নিউজকে বলেন,পশুহাটে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি আমি একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। এটা নিরসে আন্তরিকতার সহিত আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদিন জয়, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.