রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচন, বিদ্রোহী প্রর্থীর লোকজনকে মারধর

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী আখতারুজ্জামান আকতারের ৬ কর্মীকেে এমপি আয়েন উদ্দিনের উপস্থিতি মারপিট করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মোহনপুরে আক্তারের পোস্টার টানাতে গেলে মারপিটের পর ওই ৬ কর্মীকে এমপি আয়েন উদ্দিন পুলিশের হাতে তুলে দেন বলেও অভিযোগ করেছেন আখতারুজ্জামান।
আখতারুজ্জামানের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, আমি আখতাজ্জামান আকতার রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোট করছি।
ইতোমধ্যে বেশ কিছু হামলা ও হুমকির মধ্য দিয়েই প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছি।
সম্প্রতি আমার পোষ্টার ও ফেস্টুন নির্বাচনী এলাকা থেকে ছিড়ে ফেলার অভিযোগ আসছে।
এরই মধ্যে বুৃধবার দিবাগত রাতে রাজশাহী মোহনরপুর উপজেলার ধুরোইল ইউনিয়নে আমার পোষ্টার লাগাতে বাধা দেওয়া ও কর্মীদের আটকে রেখে মারধরের খবর আসে।
খবর পেয়ে আমার নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী এ্যাড. আবু রায়হান মাসুদসহ বেশ কিছু কর্মী সেখানে দুটি গাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন। রাত ১০ টা ৪০ মিনিটের দিকে তারা সেখানে উপস্থিত হলে রাজশাহীর পবা-মোহনপুর আসনের এমপি আয়েন উদ্দিনের নির্দেশে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে অতর্কিত হামলা হয় আমার কর্মীদের ওপর।
এসময় হামলাকারীরা আমাদের দুইটি গাড়ি ভেঙ্গে ফেলে।
এর কিছুক্ষণ পরপরই সেখানে এমপি উপস্থিত হয়ে আমার ৬ কর্মীকে ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে অবরুদ্ধ করে রাখে। ঘটনা ঘটার অন্তত ১০ মিনিট পরই পবা-মোহনপুর সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন তার নেতাকর্মী নিয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে আমার লোকজনদের মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এসময় এমপি নিজেই আমার নেতাকর্মীদের লাঠি দিয়ে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন মোহনপুর থানা পুলিশের ওসি তৌহিদুল ইসলামসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্সরা। ঘটনাস্থল থেকে ৭জনকে উদ্ধার করে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসেন।
মারধরের ঘটানয় আহতরা হলেন, আকতারের নির্বাচনের প্রধান সমন্বয়কারী ড. আবু রায়হান মাসুদ, বাগমারা উপজেলার বড়বিহানালী গ্রামের নাসির উদ্দীন প্রামাণিকের ছেলে আব্দুল মালেক নয়ন(৩৫), রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম এলাকার মৃত সাইফুদ্দিন মিয়ার ছেলে আবু সুফিয়ান সম্রাট (৩০), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আশিকুল ইসলাম নিটু (৪৫), মৃত এ্যাড.মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে এ্যাড.গোলাম আযম ফারুক(৫৩), মনিমুল হকের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন (৩০), লক্ষীপুর এলাকার মৃত নকির উদ্দিন শেখের ছেলে মোঃ আলী (৫৩) ও রাজশাহী হড়গ্রাম এলাকার মন্টুর ছেলে রাফি (৩৫)।
ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আকতার আরও বলেন, এই ঘটনার আমি তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে সুষ্ঠ বিচার ও তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
জানতে চাইলে আকতার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি নির্বাচনী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিব।
মোহনপুর থানার ওসি তৌহিদুল ইসলাম বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে। কয়েকজনেক থানায় রাখা আছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, আকতারের লোকজন মোতালো নামের একজনকে গাড়ী চাপা দেন। এতে তিনি আহত হন।
গতকাল গভীর রাতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের পোস্টার মারার সময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আক্তার ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন প্রতিপক্ষ মীর ইকবালকে এমনকি আমাকেও গালিগালাজ করেছেন। এতে স্থানীয় লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ি ভাঙচুর করে। গাড়ি নিয়ে দ্রুত গতিতে পালানোর সময় মোতালেবকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটি মারা গেছে বলে স্থানীয়রা আমাকে জানালে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মোহনপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। এর পর সাতজনকে আটক করা হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে আচরণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগে এমপি আয়েনকে সতর্ক করে চিঠি দেন জেলা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.