রাজশাহী জেলায় বেড়েছে পাট চাষ, বেশী দাম পাওয়ায় পাট চাষিদের মুখে হাসি 

নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় বাংলাদেশের পাটকে বলা হত সোনালী আঁশ। পাট থেকে আসত বেশি বৈদেশিক মুদ্রা।প্রধান অর্থকারী ফসল বলতে পাটকে বোঝানো হত।কিন্ত সময় এর পরিক্রমায় আস্তে আস্তে হারিয়ে যায় পাট। বন্ধ করে দেয়া হয় বেশীর ভাগ জুট মিল। কিন্ত বছর তিনেক যাবৎ লক্ষ্য করা যাচ্ছে পাটের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। তাই পাটের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে এই অঞ্চলে।
তাই এমন হতাশাজনক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে পাট। পাটের উৎপাদন বাড়তে শুরু করেছে। বাজারে দাম ভালো পাওয়ায় পাট চাষিদের মুখে আবারও হাসি ফুটেছে।
এবার রাজশাহী জেলায় পাট চাষ বেড়েছে তিন হাজার হেক্টর জমিতে। গত বছরের চেয়ে উৎপাদন বেড়েছে দুই দশমিক ৮০ শতাংশ। ১৮ হাজার ৩৯ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ৪৪ হাজার ৬৪৬ মেট্রিক টন পাট। আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত ভালো থাকায় উৎপাদন হয়েছে ভালো। খাল-বিল-ডোবা-নালা পানিতে ভরে থাকায় পাট জাগ দেয়ার সমস্যা নেই। পর্যাপ্ত পানি থাকায় পাটের রঙও ভালো। বাজারে দাম ভালো থাকায় চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।
এখন জেলার শতভাগ পাট কাটা শেষ। জাগ দেয়া, ছাড়ানো আর শুকানোতে ব্যস্ত চাষিরা। পাটের আড়ৎ ও বেসরকারি মিলে পাট কেনা-বেচাও জমে উঠেছে। গুণ ও মান ভেদে গড়ে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। এমন দাম পেলে চাষিরা আবারও পাটচাষে আগ্রহী হয়ে উঠবেন সন্দেহ নেই।
এজন্য পাটের বাজার বিশেষ করে আন্তর্জাতিক বাজার বাড়াতে হবে। দেশিয় পাটকলগুলোতে মানসম্পন্ন পাটপণ্যের উৎপাদনও বাড়াতে হবে। বন্ধ হয়ে যাওয়া সরকারি পাটকলগুলো নতুন ব্যবস্থাপনায় চালু করা গেলে বিষয়টা সহজ হবে। নইলে কল-কব্জাসহ অবকাঠামো নষ্ট হয়ে যাবে, দক্ষ শ্রমিকরা হারিয়ে যাবে। তখন পাটের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা কঠিন হয়ে পড়বে।
কৃষিভিত্তিক শিল্প হিসেবে পাটশিল্পের বিকাশের ওপর জাতীয় অর্থনীতির টেকসই হওয়া অস্বীকার করা যাবে না। এ দেশের প্রকৃতি-পরিবেশ-জমি-আবহাওয়া পাট উৎপাদনের উপযোগী। বিশ্ববাজারে এখন পাটের চাহিদাও রয়েছে। এমন অবস্থায় পাটচাষিদের হাসি স্থায়ী করা মোটেই কঠিন বিষয় নয়। সংশ্লিষ্টদের পরিকল্পিত পদক্ষেপের ওপরই এখন সবকিছু নির্ভর করছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো: মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.