রাজশাহী কসমেটিকস্ ব্যবসায়ীর সংবাদ সম্মেলন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগে

নিজস্ব প্রতিবেদক:  তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যদের দেয়া মিথ্যে মামলা থেকে রক্ষা পেতে রাজশাহী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আব্দুল হাকিম (৩০) নামের এক ক্ষুদ্র কসমেটিকস্ ব্যবসায়ী। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজশাহী প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন এই অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ১৬/০৯/২০১১ ইং তারিখ ভালোবাসা সম্পর্ক করিয়া ইসলামীক সরিয়ত মোতাবেক রেজিস্ট্রি কাবিনমূলে রাজশাহী জেলার পুঠিয়া থানাধীন নামাজগ্রাম গ্রামের মনসুর আলীর কন্য শারমীন আক্তার নাজমা (২৭)কে বিবাহ করি।

বিবাহের পর ঘর-সংসার করাকালে ১টি কন্যা সন্তান নাজিফা সুলতানা জন্ম গ্রহণ করে। বিবাহের পর থেকে আমি, শ্বশুর, শ্বাশুড়ী, স্ত্রী এবং স্ত্রী ভাইদের প্রতি সরল মনে অতিরিক্ত বিশ্বাস করিয়া সবকিছু উজাড় করিয়া দিয়া শ্বশুর বাড়ীর ও স্ত্রী আনুগত্যে সংসার করিয়া আসিতেছিলাম।

আমি আমার শ্বশুর ১নং আসামীর বাড়ীতে ঘরজামায়ের মত থাকিতাম ও শ্বশুর ও স্ত্রীর কথামত চলিতাম। এই সুযোগে আমার শশুর মনসুর আলী আমার নামে ব্যাংকে বিভিন্ন প্রকার হিসাব খুলিয়া আমার নামে ঋণ গ্রহণ করে নিজে ব্যবসা করিত। আমি সরল মনে শশুরের উপর বিশ্বাস করিয়া সবকিছু ছেড়ে দেয়।

এক সময় আমার শশুরের প্রয়োজনে ও তাহার কথামত আমি নিজ নামে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, পুঠিয়া শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নং-৩৯৭০১১১০০১১-৬৯৩৯ খুলি। উক্ত ব্যাংক হিসাবের চেক বইটি আমার স্ত্রীর নিকট থাকিত। উক্ত ব্যাংক হিসাবের চেকের পাতার নং-৭২৭৩৬০১, ৭২৭৩৬০৩, ৭২৭৩৬০৪, ৭২৭৩৬০৬, ৭২৭৩৬০৭, ৭২৭৩৬০৮, ৭২৭৩৬০৯ ও ৭২৭৩৬১০ মোট (০৮) আট পাতা চেকের পাতা ফাঁকা এবং আমার শ্বশুরের কথামত আমি স্বাক্ষর করিয়া স্ত্রীর নিকট রাখিয়া ছিলাম।

কোন এক সময় শশুর বাড়ির কথামত না চলায় তাহাদের সহিত আমার মনোমালিন্য ও ঝগড়া সৃষ্টি হলে আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমার নিজের বাড়িতে সংসার করিবার জন্য বলিলে স্ত্রী শারমীন আক্তার নাজমা তাহাতে রাজি না হইলে আমার মধ্যে দ্বন্ধ শুরু হয়। পরবর্তীতে আমার স্ত্রীর সহিত বনিবনা না হওয়ায় গত ১২/০২/২০১৯ইং তারিখে আমি আমার স্ত্রী শারমীন আক্তার নাজমাকে রেজিষ্ট্রি তালাক মূলে তালাক প্রদান করি।

অতঃপর আমার বিরুদ্ধে আমার তালাক দেয়া স্ত্রী যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মোতাবেক ১০০সি/১৯(পুঠিয়া) মামলা দায়ের করেন। পরে আমি আমার তালাক দেয়া স্ত্রীর করা মামলায় জামিন নিলে তার পরিবার আমাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য এবং আমাকে জব্দ করিবার উদ্দেশ্য স্ত্রীর সাথে সংসার করার সময় রাখা উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড, পুঠিয়া শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব নং-৩৯৭০১১১০০১১-৬৯৩৯ এর সাক্ষর করা ফাকা ৮টি চেকের মধ্যে ৪টিতে যথাক্রমে চেকের পাতার নং-৭৩৭৩৬০৬,তে আমার শশুরের ভাতিজা মো: শাহাদত ১৮৮১ সালের এন.আই.এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা মতে ৭,০০,৩৫০ (সাত লক্ষ তিনশত পঞ্চাশ) টাকার মামলা করেন। ৭২৭৩৬০৮ নং চেকের পাতাটিতে আমার শশুরের নিকটতম আত্মীয় মো: মহিদুল ইসলাম ৬,৯০,০০০/ (ছয় লক্ষ নব্বই হাজার) টাকার মামলা করেন। চেক নং-৭৩৭৩৬০৭ নং পাতাটিতে আমার শশুরের ছেলে মো: সুমন আলী মন্ডল ফাকা চেকে ১০,৩০,৫০০ (দশ লক্ষ ত্রিশ হাজার পাঁচশত) টাকা ও চেক নং ৭২৭৩৬১০ নং চেকে ৭,৮০,০০০ (সাত লক্ষ আশি হাজার) টাকা লিখিয়া মামলা করেন। যাহা আমি সমন প্রাপ্তির মাধ্যমে জানিতে পারি।

মূলত আমার স্ত্রীকে তালাক দেয়ার কারনে তার পরিবার আমাকে সর্বশান্ত ও জেল খাটাইবার জন্য এবং অবৈধভাবে অন্যায় লাভের আশায় আমার তালাক দেয়া স্ত্রী শারমীন আক্তার নাজমা ও তার পিতা মো: মনসুর আলী ও তার পরিবারে সদস্যদের দিয়ে আমার নামে মিথ্যে মামলা দেয়।

যাহা আদালত কর্তৃক জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) রাজশাহীকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সর্ব শেষে ক্ষুদ্র কসমেটিকস্ ব্যবসায়ী মো: আব্দুল হাকিম তার এইসকল চেকের মিথ্যে মামলা সুষ্ঠ তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।

সংবাদ প্রেরক রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. সাইদুর রহমান। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.