রাজশাহী অঞ্চলে হেমন্তে শীতের পদধ্বনি
নিজস্ব প্রতিবেদক: আমাদের দেশকে ছয় ঋতুর দেশ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু সারা বিশ্বে আবহাওয়া যেমন পরিবর্তিত হচ্ছে, সেরূপ বাংলাদেশেও দ্রুত আবহাওয়া পরিবর্তন হচ্ছে। রাজশাহী তথা উত্তর বঙ্গে অনেক আগেই আবহাওয়া পরিবর্তন হয়।
এই অঞ্চল এর তিনটি ঋতু বিদ্যমান।গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীতকাল।প্রকৃতির বৈরী আচরণের জন্য ফারাক্কা দায়ী বলে অনেক পরিবেশ বিজ্ঞানী দাবী করেন।
কুয়াশার চাদরে মুড়ে শীত আসছে। এখন যদিও হেমন্তকাল তবুও শীতের আগমনী বার্তা শুরু হয়েছে রাজশাহী অঞ্চলে। কমতে শুরু করেছে তাপমাত্রা, অনুভূত হচ্ছে শীতের পদধ্বনি।
সন্ধ্যার পর থেকেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে ও মধ্যরাতে অনুভূত হচ্ছে আরও বেশী। জেলা শহর ও সীমান্তবর্তী উপশহরসহ গ্রামাঞ্চলে শীত পড়তে শুরু করেছে।
সন্ধ্যালগ্নে কুয়াশার দেখা মিলছে। শেষ রাতে কুয়াশা পড়ছে বেশি করে। চলতি ঋতুর বৈশিষ্ট্যই এমন যে রাতে হালকা শীত অনুভূত হয় আবার সূর্যের তাপের কারণে দিবা ভাগে কিছুটা হলেও গরম লাগে।
রাজশাহী জেলা শহরেও শেষ রাতে শীত অনুভূত হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে শীতের অনুভূতি আরো বেশি। প্রকৃতি ও জীবনেও শীতের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেছে। মানুষের শরীর হালকা শীতের প্রভাবে শুষ্ক হয়ে উঠছে।
এ কারণে শীতের প্রসাধনী বিশেষ করে কোল্ড ক্রিম, পেট্রোলিয়াম জেলি, ময়েশ্চারাইজারের বিক্রি বেড়েছে। শহরগুলোতে রাতে গরম কাপড়ের প্রয়োজনীয়তা দেখা না দিলেও বেশী রাতে যারা চলাফরা করেন পরিধেয় কাপড় চোপড়ে কিছুটা শীত অনুভব করছেন। তবে প্রত্যন্ত অঞ্চলে কেউ কেউ গরম কাপড় নামাতে শুরু করেছেন।
আবহাওয়াবিদদের অভিমত যেখানে গাছপালা বেশী, জনবসতি কম, পাহাড় ঘেরা সেখানে শীতের অনুভূতি বেশী। শীতের আগমনী বার্তায় শহর- উপশহরে বিভিন্ন মহল্লায় লেপ তোষক তৈরীর কারিগররা ইতিমধ্যে হাকডাক শুরু করে দিয়েছে।
জেলা সদরগুলোর বিভিন্ন মার্কেটে শীতের কাপড় আমদানি শুরু হয়েছে। শীতের হাওয়া লাগলেও শীতের শাকসবজি তেমন একটা দেখা যায়নি। খেজুর রস এখনো উঠেনি। ভাপা উঠতে শুরু করেছে।
শীতের এই আগমনী ধ্বনিতে অনেকে উল্লসিত হলেও নিম্নবিত্ত ফুটপাতে যারা থাকে শীতের কাপড়ের অভাবে তাদের জন্য শীত হয়ে উঠে দুঃসহ। তাই প্রস্তুতির প্রয়োজন এখনই।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.