রাজশাহীর ৩৫টি স্কুলে ‘মুজিব’ গ্রাফিক নভেল বিতরণ করলো বিকাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে স্কুলের শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণিত করতে রাজশাহী বিভাগের ৩৫টি স্কুলে ১৪০০ কপি গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিতরণ করলো বিকাশ। মুজিব শতবর্ষ উদযাপন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে সারাদেশের স্কুলগুলোতে এই বই বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান বিকাশ।
বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ অবলম্বনে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’ বিকাশের পৃষ্ঠপোষকতায় স্কুলগুলোতে বিতরণ করছে আলোকিত মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। আট খন্ডে প্রকাশিত গ্রাফিক নভেল এর পরবর্তী খন্ডগুলো প্রকাশিত হওয়ার পর আবার তা বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে স্কুলগুলোতে পৌঁছানোর পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক স্কুলে এই কর্মসূচির স¤প্রসারণ করবে বিকাশ।
আজ বুধবার রাজশাহীর শিল্পকলা একাডেমী অডিটোরিয়ামে স্কুল প্রতিনিধিদের হাতে বই তুলে দেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর এবং বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম (অবঃ)। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক অধ্যাপক অলক মৈত্র।
সংলাপ, গদ্য ও চিত্রের যুৎসই সমন্বয়ে শিশু-কিশোরদের উপযোগী ফরম্যাটে বঙ্গবন্ধুর শৈশব, কৈশোর, সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতার বর্ণনা চিত্রিত হয়েছে গ্রাফিক নভেল ‘মুজিব’-এ। রাজশাহীর বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীরা এই বইয়ের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে জানার সুযোগ পাবে।
এ পর্যায়ে রাজশাহীর ৩৫টি স্কুলের প্রতিটিকে ৫ সেট করে মোট ৪০টি বই দেয়া হয়েছে। ফলে একই সাথে ৪০ জন শিক্ষার্থী স্কুলের লাইব্রেরি থেকে বইটি পড়ার সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, এ বছর দেশজুড়ে ৫০০টি স্কুলে ২০ হাজার কপি ‘মুজিব’ নভেল বিতরণ করার কার্যক্রম চালু রয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর বলেন, বইয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু আর্দশে অনুপ্রাণিত করার এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বঙ্গবন্ধুকে জানা এবং বই পড়ার অভ্যাস দুটোই শিক্ষার্থীদের আত্মিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
বিকাশের চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মোঃ মনিরুল ইসলাম (অবঃ) বলেন, “বঙ্গবন্ধুর জীবন ছিলো সংগ্রাম ও ত্যাগ-তিতিক্ষার। সারা জীবন তিনি বাঙালি জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন ও তা বাস্তবায়নে সংগ্রাম করেছেন। বাঙালি জাতির কষ্টার্জিত স্বাধীনতা রক্ষার্থে তাই প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন সম্পর্কে জানা এবং তা থেকে অনুপ্রাণিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন।”
উল্লেখ্য, বিকাশ যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই বিতরণের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছে।
আগামী প্রজন্মের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচির সাথে যুক্ত থেকে এ পর্যন্ত ২৯০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ২,৫৩,৬০০ বই দিয়েছে বিকাশ যা থেকে ২৬ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।
গত দুই বছর ধরে বাংলা একাডেমির বইমেলায় আসা পাঠক-লেখক-দর্শনার্থীদের কাছ থেকে বই সংগ্রহ করছে বিকাশ। সংগ্রহীত বইয়ের সাথে নিজেদের দেয়া বইগুলো মিলিয়ে এ পর্যন্ত ২২,৫০০ বই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য পরিচালিত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তি উদ্যোগের লাইব্রেরিতে বিতরণ করেছে বিকাশ।
বই কিনতে উৎসাহিত করতে গত আট বছর ধরে বইমেলা উপলক্ষ্যে বই কেনায় ক্যাশব্যাকও দিয়ে আসছে বিকাশ। পাশাপাশি বাঙালি জাতির প্রাণের উৎসব অমর একুশে বইমেলায় বিকাশ গত চার বছর ধরে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাংলা একাডেমির সাথে কাজ করে আসছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. মাসুদ রানা রাব্বানী / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.