রাজশাহীর শ্যামপুর বালুঘাটে পৌরসভার নামে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী পবা উপজেলার শ্যামপুর বালুঘাট সংলগ্ন বালুবাহী ট্রাক থেকে টোল আদায়ের জন্য ইজারা দিয়েছে কাটাখালী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ। 
প্রায় দুই কোটি টাকা দিয়ে চলতি মৌসুমের জন্য ইজারা নিয়েছেন দুর্গাপুর এলাকার রিপন নামের একজন ঠিকাদার।
অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার সাথে যোগসাজসের মাধ্যমে নিয়মবহির্ভুতভাবে গেল বছরের চাইতে অতিরিক্ত টোল আদায় কার হচ্ছে।
টোল আদায়ের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়টি সরাসরি স্বীকার করলেও প্রতিনিধির কাছে তুলে ধরেন অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের নানাবিধ যৌক্তিকতা।
তাদের যুক্তিগুলোর পুরোটাই ছিল অনৈতিক আর অপরাধ সম্পর্ককৃত। স্থানীয় প্রশাসনকে মাসিক হারে মোটা অংক প্রদান, বিভিন্ন রাস্তায় চাঁদার হিসেবে, স্থানীয় নেতা ও যুবসমাজ, নিজস্ব লাঠিয়াল বাহীনি ছাড়াও কিছুটা উচ্চমহলের হিসেব নিকেষ ইত্যাদি ইত্যাদি খাতে প্রাত্যহিক ও মাসিক ভিত্তিতে অর্থ প্রদানের বিষয়গুলোর কারনেই নাকি টোল বেশি হারে নেয়া হচ্ছে বলে জানান দায়িত্বরতরা!
এমনই অযৌতিক কারনকে ঢাল করে তারা আদায় করছে অতিরিক্ত টোল। অন্যদিকে, উক্ত টোল আদায়কারি ব্যক্তিদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, বালীবাহী ট্রাক ও ট্রলি নিয়মিতভাবে এলাকার রাস্তা দিয়ে চলাচল করার জন্য রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তাগুলো পরবর্তী সময়ে মেরামত করার লক্ষ্যেই অতিরিক্ত হারে টোল আদায় করা হচ্ছে।
কিন্তু স্থানীয়দের ভাষ্যানুযায়ী গেল বছরেও রাস্তা মেরামতের কথা বলে একইভাবে কয়েকগুণ অতিরিক্ত টোল আদায় করা হলেও আজ অবদি সেই রাস্তা মেরামত করেনি তারা। উপরন্ত দিন যত এগোচ্ছে রাস্তার চিত্র ততই নষ্ট হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা। সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে ভোগান্তি। সরেজমিনে গিয়েও মেলে তার সত্যতা।
অতিরিক্ত হারে টোল আদায় হবার কারণে বালু ব্যবসায়িরা বাড়িয়ে দিয়েছেন বালুর দাম। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে নগরীতে চলমান বহুতল ভবন ছাড়াও নির্মাণাধীন বাড়িগুলোতে।
ঐএলাকার বালি ব্যবসায়ি হেলিন বলেন, ট্রাক প্রতি নির্ধারিত হারে টোল আদায় হলে আমরাও কম দামে বালি সরবরাহ করতে পারতাম।
একই কথা বলেন, বালু ব্যবসায়ি আব্বাস ও হিরা। তারা আরো বলেন, অতিরিক্ত হারে টোল আদায়ের জন্য ট্রাক প্রতি তাদের লাভ থাকছে নামমাত্র অংকে।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্টরা একটু সচেতন হলে বালু ব্যবসায়ি ও ক্রেতারা উপকৃত হতেন।
এবিষয়ে, কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আনোয়ার সাদাত বলেন, সিডিউলে কোন প্রকার টোলের কথা উল্লেখ্য নেই। গেল বছর ট্রাক প্রতি আদায় করা হয়েছিল দুইশত টাকা।
ট্রাক চলাচলে রাস্তা নষ্ট হয়ে যায় বিধায় ট্রাক প্রতি একশ করে বেশি নেয়া হচ্ছেছ বলে জানান তিনি।
সেই অতিরিক্ত আদায়কৃত অর্থ দিয়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া রাস্তা মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন ইজাদার প্রতিষ্ঠান বলেও জানান মেয়র আনোয়ার সাদাত।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন, গেলবারে উক্ত বালুঘাটের ইজারামূল্য ছিল প্রায় দশ কোটির উর্দ্ধে। কিš‘ এবার সেটি কমেগিয়ে দাড়িয়েছে পাঁচ কোটিতে।
অথচ, সেই হারে কমেনি বালুর প্রতি সেফটির দাম। যেটি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়িরা।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.