রাজশাহীর মির্জাপুর পুলিশ ফাঁড়ির এ.এস.আই সোহেলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মির্ঝাপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এ.এস.আই সোহেলের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিকার চেয়ে আজ শনিবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবরে আবেদন করেছেন মতিহার থানার ধরমপুর পূর্বপাড়া, বউ বাজার এলাকার আকবর আলীর ছেলে ভুক্তভোগি হাসিবুল হাসান। তার স্বাক্ষরিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ছোট ভাই্ মেহেদী হাসান অলি গতকাল শুক্রবার (১২ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তার মোটর সাইকেল নিয়ে বিনোদপুর বাজারে যাচ্ছিল।

এ সময়ে ধরমপুর পূর্বপাড়া ছইমুদ্দিনের আম বাগানের ওখানে গলির ভিতর রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় এ.এস.আই সোহেল অলির গতিরোধ করে। এরপর সারা শরীর তল্লাশী করে কিছু না পেয়ে গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চান তিনি। গাড়ির সমস্ত কাগজপত্র দেখালেও মাথায় হেলমেট এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য অলিকে জামার কলার ধরে তাদের গাড়ি তোলেন এবং ৫০০পিচ ইয়াবার মামলা দিয়ে চালান করার হুমকী দেন। সেইসাথে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এসময়ে আমার ভাইয়ের সঙ্গে ছিলেন ধরমপুর পূর্ব পাড়ার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে জালাল, আনোয়ারের ছেলে অনিক ও মির্জাপুরের মৃত আব্দুল লতিফ এর ছেলে সারোয়ার হোসেন।

তারা অবস্থা খারাপ দেখে তাকে খবর দেয় বলে জানান হাসিবুল। দ্রুত সেখানে পোঁছে আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তার সাথেও সোহেল অত্যন্ত খারাপ আচরন করেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। এক পর্যায়ে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হোন এবং অলিকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদ জানান জনগণ। প্রয়োজনে মোটর সাইকেল চালানোর নীতি ও আইন অনুযায়ী মামলা দেয়ার কথা বলেন। অবস্থা বেগতিক দেখে সোহেল পুলিশ সার্জেন্ট সনেটকে ডেকে একটি মামলা দিয়ে অলিকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এ নিয়ে মতিহার থানায় এ.এস.আই সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে গেলে অত্র থানার অফিসার ইনচার্জ তাদের অভিযোগ নেননি।

তিনি আরো অভিযোগ করেন, সোহেলের অত্যাচারে তারা এবং এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এলাকার চিন্থিত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে তার সুসম্পর্ক রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে তিনি নিয়োমিত মাসহারা খান। এছাড়াও অনেক সময় মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে মাদক পাচারে সহযোগিতা করেন থাকেন তিনি। শুধু তাইনয় অত্র এলাকার বিভিন্ন জনগণকে অযাচিতভাবে আটক করে হেনস্তা করে এবং টাকা না দিলে ছাড়েন না তিনি। এটা তার ব্যবসা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি পুলিশের অত্র ফাঁড়ি থেকে অপসারণ এবং শাস্তির জন্য কমিশনারের লিখিতভাবে নিকট প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে এ. এস.আই সোহেলের নিকট জানতে চাইলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তিনি সরকারী দায়িত্ব পালন করেছেন। নিয়মিত তল্লাসীর অংশ হিসেবে তিনি মেহেদী হাসান অলিসহ মোটর সাইকেলে থাকা অন্য দুইজনকেও তল্লাসী করতে চাইলে অলি তার সাথে খারাপ আচরণ করেন। এরপর সার্জেন্ট এসে হেলমেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার কারনে মামলা দেন বলে জানান তিনি । শুধু তাদের নয় আরো মোটর সাইকেল আরোহীদের তিনি তল্লাসী করেছেন। তিনি আরো বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ীর সাথে তার কোন প্রকার সম্পর্ক নাই। এছাড়াও কর্ম এলাকার কোন লোকের সাথে কোন প্রকার খারাপ ব্যবহরা করেন না বলে জানান সোহেল।

এদিকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, তিনি এখনো অভিযোগটি হাতে পাননি। পাওয়ার পরে দেখে বিধি অনুযায়ী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল করিম (বাবলু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.