নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় মুন্নি খাতুন (২৬) নামে এক গৃহবধূকে ডিজেল ঢেলে আগুন দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১ নভেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে পিতা মাসুদ রানা রাতে মেয়ের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। তবে ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামী সুরুজ আলী ও তার বাবা-মা পলাতক রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চক নারায়নপুর গ্রামের মাসুদ রানার মেয়ে মুন্নি খাতুনের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে একই গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে সুরুজ আলীর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের অভিযোগ, সুরুজ আলী মাদকাসক্ত হয়ে প্রায়ই স্ত্রীর কাছে বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতেন। শনিবার রাতে টাকা চাইতে গিয়ে দ্বন্দ্বের এক পর্যায়ে সুরুজ আলী ধান সেচের জন্য ঘরে রাখা ডিজেল স্ত্রী মুন্নির শরীরে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন।
আগুনে দগ্ধ অবস্থায় মুন্নি খাতুনের চিৎকার শুনে পরিবারের সদস্যরা ছুটে এসে আগুন নিভিয়ে তাকে উদ্ধার করে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. অখিল পাল তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শঙ্কর বিশ্বাস বলেন, সকালে রোগীকে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। দুপুরে তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার আবেদন করলে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই তার অবস্থার অবনতি হলে জরুরি বিভাগে আনা হয়, সেখানে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাঘা থানার ওসি আ.ফ.ম আসাদুজ্জামান জানান, শনিবার রাতে গৃহবধুর বাবা থানায় এসে মৌখিক ভাবে বিষয়টি আমাকে অবগত করেছেন। তিনি বলেছেন, সকালে তার মেয়ের জানাজা শেষে থানায় মামলা করবেন। তবে দুপুর ১২ টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন অভিযোগ আসেনি বলে ওসি নিশ্চিত করেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মো. জয়নাল আবেদিন জয়, রাজশাহী। #

















