নিজস্বপ্রতিবেদক: রাজশাহীর বাঘায় বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান এখন গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। হনুমান ছুটছে বাসাবাড়িতে, কখনও গাছের ডালে। হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে বাঘা উপজেলায় চলে এসেছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের থান্দারপাড়ার শিক্ষক লিটন থান্দারের বাড়ির সামনের গাছে ওই হনুমানটি দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাবারের সন্ধানে কালোমুখো হনুমান ছুটছে বাসাবাড়ি, কখনও গাছের ডালে। হনুমানটির পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ় ধূসর বাদামি। বুক, পেট ও দেহের নিচ লালচে বাদামি এবং সোনালি রঙের। লোমবিহীন মুখমন্ডল, হাত ও পায়ের পাতা কুচকুচে কালো। মাথায় টুপি পরে রয়েছে মনে হচ্ছে।
খবর পেয়ে হনুমানটি দেখতে এসেছেন বাঘা শাহদৌলা সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের একজন প্রভাষক। তিনি বলেন, হনুমানটি এ গ্রামে এসেই বিভিন্ন ক্ষেতের টমেটোসহ বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে।
কিছু যুবক হনুমানটিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় হনুমানটি একটি বাড়ির টিনের চালায় বসে থাকতে দেখা যায়। একটি পাউরুটি দিলে তা নিয়ে খেয়ে নেয় হনুমানটি।
পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেরাজ বিটিসি নিউজকে জানান, হনুমানটি খবর পেয়ে স্থানীয় ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশকে রক্ষনাবেক্ষনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখতে এসে কেউ যেন হনুমানটিকে বিরক্ত না করে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল ইসলাম বিটিসি নিউজকে জানান, এক সময় সুন্দরবন-পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো বড় প্রজাতির হনুমানের দেখা যেত। কিছু হনুমান খাদ্যর অভাবে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। আকার আকৃতিতে মনে হচ্ছে এ প্রজাতির হনুমান বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এটি একটি বিরল প্রজাতির মুখকালো হনুমান।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.