রাজশাহীর বাগমারা থানা এলাকায় স্পর্শ কাতর নিউজে বিভ্রান্তি জনগণের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারায় স্পর্শ কাতর নিউজে বিভ্রান্তিতে রয়েছেন পাঠক ও সর্ব সাধারণ। একটি ঘুমন্ত জনৈক মহিলা স্তন কর্তন এবং নব্য বাহিনীর উত্থান বিভিন্ন চ্যানেল অনলাইন নিউজ পোর্টালসহ প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশ।

এ দুটি ঘটনায় উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের বীরকয়া, মন্দিয়াল, সাঁইপাড়া,মাধনগর, জ্যোতিনগঞ্জ,হলুদঘরসহ কয়েকটি গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে মোটামুটি একটি ধারণা পাওয়া গেছে। বীরকয়া গ্রামের মুক্তার হোসেনের স্ত্রী মঞ্জুরি আক্তার নামক যে, গৃহ বধূর স্তন কর্তনের কথা বলা হয়েছে সেটি একটি পারিবারিক ঘটনা।

মোক্তারের বড় ভাই মোবারক হোসেনের স্ত্রীর সাথে মঞ্জুরি আক্তারের (জায়ে-জায়ে দ্ব›দ্ব) ঝগড়া,দন্দ হাতাহাতি-মারামারি ঘটনা ঘটে। মন্দিয়াল গ্রামের মিনা,এবং রাবিয়া বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, মঞ্জুরি ও তার জায়ে-জায়ে মারামারি ঘটনা সঠিক কিন্তু স্তন কাটার বিষয়টি অসত্য। এছাড়াও বাসুপাড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপিত লুৎফর রহমান এবং মৎস্য চাষী প্রভাবশালী জাবের আলীর মধ্যে প্রভাব বিস্তার, নাককাটি বিল,পুকুর দখল নিয়ে হামলা.মামলা,পাল্টা হামলার ঘটনা তো রয়েছেই।

এ ধরণের নিউজ প্রকাশ হলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। উভয় পক্ষের (জাবেরে ৬ জন, লুৎফরের ৫ জন) এগারো জনকে গ্রেপ্তার করা করায় বর্তমানে কয়েকটি গ্রাম পুরুষ শূন্য। সাধারণত খাল, বিল,পুকুরে মৎস্য চাষ করতে অনেক শেয়ার হোল্ডার বা জন বলের প্রয়োজন হয়ে থাকে। পূর্বের পারিবারিক ঘটনাটি ভিন্ন মাত্রায় যোগ হয়। মঞ্জুরির ভাসুর মোবারক হোসেনের মৎস্যচাষের সুবাদে জাবের আলীর সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক।

মুক্তার এবং তার স্ত্রী, মোবারককে শায়েস্তা করতে অপর প্রভাবশালী লুৎফর রহমানের লোকজনের সহযোগিতা নেয়। ইলেকট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদকর্মীদের কাছে মঞ্জুরি ভুল তথ্য দিতে বাদ্য হয়।

বিষয়টি ফলাও করে প্রচার হলে ভিকটিম লজ্জায় পড়ে (ঘটনা এক রকম প্রকাশ অন্য রকম)। শেষ পর্যন্ত স্থানীয় ভাবে বিষয়টির মিমাংসা হয়। ভিকটিম মঞ্জুরির কাছে (মাধনগর পিত্রালয়ে) স্পর্শ কাতর স্থান কর্তন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইলেট্রিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সংবাদ কর্মীদের তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে সত্য, তবে স্তন কাটার বিষয়টি সঠিক নয় (অডিও এবং ফুটেজ আছে)।

বাগমারা থানা পুলিশ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে বাগমারায় বর্তমানের নব্য কোনো বাহিনীর উত্থান ঘটেনি।

বাগমারা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, লুৎফর রহমান এবং জাবের আলী দুজন ই আমাদের দলীয় লোক, তাঁরা লোকজনকে নানা ভাবে হয়রানি এবং নির্যাতন করেছে, সে কারণে আজ দুজনই জেল হাজতে। অপর এক পশ্নের জবাবে নূরুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, কোনো ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের জবর দখলের দায়ভার মাননীয় সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বা দল বহন করবে না।

বাগমারা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এবং কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজামান আসাদ এ প্রসঙ্গে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বাগমারা আসনের এম.পি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে কথা বলে রক্তাক্ত বাগমারাকে আজ শান্তির বাগমারায় পরিণত করেছেন। নব্য বাহিনীর উত্থানের কথা বলে বাগমারাকে আবারও পিছিয়ে দেয়া হলো। আমি এ ধরনের তথ্যের নিন্দা করছি। তিনি সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ বিষয়গুলি তুলে ধরতে সংবাদ কর্মীদের আহবান জানান।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, বাগমারায় বর্তমানে কোন বাহিনীর অস্তিত্ব নাই, বিল দখল নিয়ে লুৎফর রহমান এবং জাবের আলীর লোকজনের মধ্যে বিভিনś সময় যে, ঘটনা তা পুলিশ গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.