রাজশাহী’র প্রাণকেন্দ্র আরডিএ মার্কেট ভাঙার আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা জরুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভাঙ্গা গড়া পৃথিবীর নিয়ম,কারো জন্য কিছু থেমে থাকবে না, এটাই স্বাভাবিক। রাজশাহীর সবচেয়ে বড় আরডিএ মার্কেট। তিনতলা এই মার্কেটে দুই হাজার ২০০টি দোকান। দু বছর আগে ফায়ার সার্ভিস কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করার পর এখন তা ভাঙার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য দুই দশক আগে নির্মিত মার্কেটটি ভাঙা অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। তবে তার আগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবী অযৌক্তিক বলা যাবে না।
রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) মালিকানাধীন মার্কেটটি ১৯৮৮ সালে ১৩৭ জন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নিয়ে যাত্রা শুরু করে। সংস্কারের পর ২০০৬ সালে নতুন করে দোকান বরাদ্দ শুরু হয়। এখন তিন তলা মার্কেটটিতে দুই হাজার ২০০টি দোকানে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যায়। তাই সব সময় ভিড় লেগেই থাকে আরডিএ মার্কেটে।
গত ডিসেম্বরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আরডিএ মার্কেট ভেঙে ফেলার সুপারিশ করা হয়। সেখানে রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চলমান প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ও ভবিষ্যত পরিকল্পনার আলোচনায় এই মার্কেট ভেঙে নতুন করে নির্মাণের জন্য সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করা হয়।
এ লক্ষ্যে একটি উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রস্তুত করে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে বলে আরডিএ সূত্রে জানা গেছে। মার্কেটের ব্যবসায়ীদের অন্যত্র সরিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সাথে সমন্বয় করেই দ্রুত কাজটি করতে চায় আরডিএ।
সাহেব বাজার বড় রাস্তার পাশেই অবস্থিত আরডিএ মার্কেটের তিন দিকে সরু গলি, আশ পাশে কোন পুকুর নেই। তিন তলা মার্কেটের সিঁড়িগুলোও সরু। তাই আগুন লাগলে বা কোনো দুর্ঘটনায় উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা ফায়ার সার্ভিসের। দেরিতে হলেও এই ঘিঞ্জি মার্কেট ভেঙে ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সের আদলে মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে ব্যবসায়ীরা ধোঁয়াশার মধ্যে থাকার কথা জানিয়েছেন। তাদের সাধারণ দাবী মার্কেট ভাঙার আগে তাদের পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।
উল্লেখ্য, পুরাতন সাহেব বাজার ভেঙে নতুন সড়ক নির্মাণের সময় ক্ষতিগ্রস্ত অনেককেই আরডিএ মার্কেটে পুনর্বাসিত করা হয়েছিল। তাই নতুন মার্কেটে বর্তমান ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি অযৌক্তিক বলা যাবে না।
যে কোনো উন্নয়ন কাজে ভাঙাগড়া স্বাভাবিক ব্যাপার। তবে এতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা কোনোভাবেই উপেক্ষার বিষয় নয়। আরডিএর পক্ষ থেকেও বিষয়টা স্বীকার করে পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে। একথার যথার্থ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা জরুরী।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.