রাজশাহীর তানোর বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ইউএনও পংকজ চন্দ্র দেবনাথ এবং ওসি রাকিবুল হাসান

বিশেষ প্রতিনিধি: ঈদ মানে খুশি ঈদ মানেই আনন্দ’ পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর ২০২১ ইং উপলক্ষে তানোর বাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ও থানার ওসি মোঃ রাকিবুল হাসান। সেইসাথে তিনারা উভয়েই করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদের নামাজ আদায় ও আনন্দ উপভোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন।

ঈদ শুভেচ্ছায় ইউএনও বলেন, মাসব্যাপী কঠোর সিয়াম সাধনার পর ঈদ-উল-ফিতর আমাদের সাবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ ও আনন্দ। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে উঠুক তানোর বাসী’সহ সকল নাগরিকের জীবন। ঈদ মানব জাতির মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সৌহার্দ, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্বের বোধ, সামাজিক সম্প্রীতি, সাম্য চেতনা এবং মহামিলনের বার্তা নিয়ে আসবে বিশ্বজনের দ্বারপ্রান্তে। সকলকে জানাই পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক।

ঈদ শুভেচ্ছায় ওসি বলেন, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের আঘাতে এবারেও হয়তো পূর্বের ন্যায় সবাইকে নিয়ে ঈদের আনন্দ উদযাপন করা সম্ভব হবে না। তবুও আমরা যে যেখানেই থাকি না কেন ঘনিষ্ঠজন, নিকটজন’সহ সবাই ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেব। কোনো অসহায় ও দুস্থ মানুষ যেন অভুক্ত না থাকে সেজন্য যাহারা সচ্ছল ব্যক্তি তিনারা যেন তাদের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। যাতে নিরন্ন মানুষরাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে।

ইউএনও এবং ওসি বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারিতে এখন বিশ্ব সম্প্রদায়ের মধ্যে বিরাজ করছে নিরানন্দ, ভয় ও আতঙ্ক। এ অদৃশ্য আততায়ী করোনার কবল থেকে মানুষকে রক্ষা করতে আমরা অন্তরের অন্তস্তল থেকে সকলের জন্য মহান সৃষ্টিকর্তার নিকট পার্থনা করি। পবিত্র ঈদুল ফিতরে আমরা এই কামনা করি ঈদের দিনে বাংলাদেশের প্রতিটি গৃহে প্রবাহিত হোক শান্তির অমিয় ধারা।

তিনারা আরও বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের এ দুর্যোগপূর্ণ সময়ে আমরা এক ভিন্ন পরিস্থিতিতে এবারেও পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন করছি। রহমত মাগফেরাত ও নাজাতের একটি মাস পবিত্র রমজান মাস। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা শেষে আসে এই খুশীর ঈদ। পবিত্র ঈদুল ফিতর সকলের জীবনে নিয়ে আশুক খুশীর বার্তা। ঈদের খুশী ধনী গরীব সকলে মিলে ভাগাভাগি করে নেয়ার মধ্যেই ঈদের আনন্দ। তবে করোনাভাইরাসের কারণে অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের ঈদ হবে ভিন্নভাবে।

এছাড়াও তিনারা এই মহামারী করোনায় নিজ কর্মস্থল তানোর বাসি ও তিনাদের নিজস্ব জন্মভূমির মানুষদের যতটা সম্ভব নিরাপদ দুরত্ব বজায়ের মাধ্যমে ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।