নিজস্ব প্রতিবেদক: শিক্ষা নগরী রাজশাহীর চার শিক্ষার্থী পেয়েছেন ভাইস চ্যান্সেলর এ্যাওয়ার্ড।তার মধ্যে তিন জনই রাজশাহী কলেজের এবং একজন শিক্ষার্থী রাজশাহীর বাগমারার।
মোট ৩০ জনের মধ্যে স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ২৬ জন এবং স্নাতক (পাস) কোর্সে চারজনকে এ সম্মাননা প্রদান করা হয়। আজ বুধবার বিকাল ৪টার দিকে এক ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃতি এই শিক্ষার্থীদের এ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়। এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে সনদ ও গোল্ড মেডেল প্রদান করা হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোতে অধ্যায়নরত নিয়মিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে সেরা ফলাফলধারী ৩০ জন শিক্ষার্থীকে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’স এ্যাওয়াডর্’ প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীর চারজন শিক্ষার্থী রয়েছেন। এদের মধ্যে রাজশাহী কলেজেরই তিনজন। অন্যজন জেলার বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী।
ভার্চ্যুয়াল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, শিক্ষা সচিব মাহবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক প্রমুখ।
ভাইস-চ্যান্সেলর’স এ্যাওয়ার্ডপ্রাপ্ত রাজশাহী কলেজের তিন শিক্ষার্থী হলেন- পরিসংখ্যান বিভাগের সাজেদুর রহমান, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের হাবিবা খাতুন হাসি ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের মৌসুমী খাতুন। তারা প্রত্যেকেই স্নাতক (সম্মান) কোর্সে এই সম্মাননা পেলেন। আর স্নাতক (পাস) কোর্সে ভাইস চ্যান্সেলর’র এ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী ফ্লক্সিমা খাতুন। এছাড়া মুজিববর্ষের রচনা প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া আফরিন।
ভবানীগঞ্জ প্রতিনিধি সূত্রে জন যায়, ফ্লক্সিমা খাতুন ভাইস চ্যান্সেলর’র এ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় তাকে ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ এরশাদ আলী। বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, শিক্ষক শহিদুল ইসলাম হেনা, ফরমান আলী, মকলেছুর রহমান মুকুল, রিনা খাতুন, শরিফা খাতুন, আফরোজা খানম রুপা, মেজবাহুল হক, রফিকুল ইসলাম, কামরুন্নাহার প্রমুখ।
শেষে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাওয়া স্বর্ণ পদক, সনদ ও কলেজ থেকে ক্রেস্ট রক্সিমা খাতুনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালের বিএ (পাস কোর্স) থেকে ভবানীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী রক্সিমা খাতুন প্রথম স্থান অর্জন করেন। তিনি উপজেলার নানসোর গ্রামের কৃষক রিয়াজ উদ্দিনের মেয়ে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.