রাজশাহীর কাটাখালীতে চলাচ্ছে মানুষ ফাঁসানোর বানিজ্য!!!

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী কাটাখালীতে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় কাটাখালী পুলিশ ফাঁড়ির ২ এএসআই অবরুদ্ধ প্রকাশিত এই শিরোনামের পরপরই পুলিশ আবারো বেলঘরিয়া এলাকায় নির্যাতনের শিকার বানিয়েছে পূর্বের ঘটনার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী বাদীর বাবাকে ।

অভিযোগকারীর বাদীর বাবার নাম আব্দুস সালাম। তিনি পেশায় একজন মুদির দোকানদার। পুরোনো মুদির দোকানদার হিসেবে তার যথেষ্ট খ্যাতিও রয়েছে। অথচ নিজেদের অপরাধ ঢাকতে কাটাখালী পুলিশ রাত ৩ টার দিকে সালামকে পেটাতে পেটাতে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে অমানসিক নির্যাতন করেছে বলে একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে । অথচ সালামের নামে ইতি পূর্বের মতিহার কিংবা বর্তমান কাটাখালী থানাতেও নেই কোন অভিযোগ । তাহলে কি এটা পুলিশি কোন ষড়যন্ত্র ? প্রশ্ন এখন সেটাই,তবে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ কারীরা কেউই এখন নিরাপদ নয় বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী ।

মালিহা বেগম নামের এক মহিলা জানান, বিকাল ৬.৩০মিনিটের দিকে বেলঘরিয়া স্কুল মাঠের পাশে কাটাখালী পুলিশ ফাড়ির একজন কন্সটেবল কবির নামের এক ছেলেকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর সময় স্থানীয় জনতা ওই কন্সটেবল সহ এএসআই আজিজ ও এএসআই জাহিদকে প্রশ্নের সম্মুখীন করলে তারা ইয়াবা দেখাতে ব্যর্থ হয়।এ সময় স্থানীয় জনতার সামনে রকি নামের এক সোর্স ২ পিস ইয়াবা বের করে দেখায়। এতে স্থানীয় জনগন পুলিশের উপর আরও বেশী ক্ষ্রিপ্ত হয়। এর পরপরই পুলিশ দ্রুত ওই স্থান ত্যাগ করে। এরপর তারা আবার রাতে এসে সালামকে লাঠি দিয়ে পেটাতে পেটাতে নিয়ে যায় ।আরও বলে যায় পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে লাশও পাবিনা কোনদিন ।

লুৎফর মন্ডল নামের আরেক বৃদ্ধ ব্যক্তি জানান–কাটাখালীর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আজিজ ও এএসআই জাহিদ আসার পর থেকেই শুরু হয়েছে নিরীহ মানুষকে ধরে ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার নাটক। তারা কারো কাছে মাদক না পেলেও অনেক সময় ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে ।

স্কুল মাস্টার শফিক জানান ,এএসআই আজিজ ও এএসআই জাহিদ বিনা কারণে মানুষকে ধরে হয়রানির শিকার বানাচ্ছে । তবে এঅবস্থা চলতে থাকলে একদিন আমাকেও  হয়তো মাদক ব্যবসায়ী বলে চালান দিতে কার্পণ্যতা করবেনা।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.