রাজশাহীর উত্তর ও দেশের পশ্চিম জনপদে হাড় কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে শীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: কয়েক দিন ধরেই রাজশাহী সহ উত্তরাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্যপ্রবাহ।শীতের তীব্রতা সঙ্গে হিমেল হাওয়া হাড়ে কাপন ধরাচ্ছে।
কনকনে শীতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। রাজশাহীতে সূর্যের দেখা মিললেও রংপুর বিভাগে বেশীর ভাগ জেলায় দেখা মিলছে না সূর্যের। অব্যাহত ঘন কুয়াশা ও কনকনে হাঁড় কাপানো ঠান্ডায় নাকাল খেটে খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
আজ রোববার কুড়িগ্রামের রাজারহাটে থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে এই জেলার পাঁচ শতাধিক চর ও দ্বীপ চরের মানুষসহ নিম্নবিত্ত ও ছিন্নমূল মানুষজন।
বাংলাদেশে শীতের দাপট মূলত চলে জানুয়ারী মাসজুড়ে। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি ও মধ্য জানুয়ারিতে দুই দফা মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর জানুয়ারির শেষে এসে তৃতীয় দফা শৈত্যপ্রবাহ বইছে। সেই সঙ্গে পাতা ঝরার দিনও চলছে প্রকৃতিতে। বিদায়ের আগে কাঁপিয়ে দিয়ে যাচ্ছে শীত।
আজ রোববার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৬ দশমিক ২, বদলগাছি ও সৈয়দপুরে ৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, যশোর আর শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ছিল ৭ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। আর ঢাকায় থার্মোমিটারের পারদ নেমেছে ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, কুড়িগ্রাম, শ্রীমঙ্গলসহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বয়ে যাওয়া এ শৈত্যপ্রবাহ আরো দুয়েকদিন অব্যাহত থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে রংপুর রিভাগসহ গোপালগঞ্জ, সীতাকুন্ড, কুমিল্লা, শ্রীমঙ্গল, রাজশাহী, পাবনা, যশোর এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চলে এই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়।
এর আগে গত ১৮-২৩ ডিসেম্বর এবং ২৬-৩১ ডিসেম্বর রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়।
আজ রোববারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সারাদেশে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকবে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা বিরাজ করতে পারে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.