রাজশাহীতে শশুর-শাশুড়ীর অন্তরঙ্গ দৃশ্য ধারণ করে জামাই জেলে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী গোদাগাড়ি থানার রহমতপুর ধামিলা গ্রামের শশুর-শাশুড়ি মেরিনা বেগম ও সামির অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও ধারন করে জামাই। পরে শশুর-শাশুড়ির কাছে চাঁদা দাবি করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তারকৃত জামাইকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে আদালত।

শাশুড়ি মেরিনা বেগম পন্যগ্রাফি নিয়ন্ত্রন আইন ২০১২ এর ৮(১) ধারায় এ মামলা দায়ের করেন। জামাই আবু সাঈদকে আদলত জেল হাজতে প্রেরণ করেন। রাজশাহী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে এ মামলা দায়ের করা হয়।

রাজশাহী গোদাগাড়ি থানার রহমতপুর ধামিলা গ্রামের মেরিনা বেগম গোদাগাড়ি মডেল থানায় লিখিত এজাহারে বলেন, অভিযুক্ত আসামি আাবু সাঈদ, আমার একমাত্র মেয়ে জামাই। দীর্ঘ আট বছর আগে তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় আবু সাঈদের। পাশের বাড়ি হওয়া ও মেয়ে জামাই হওয়ার কারণে প্রায় সময় আবু সাঈদ আমাদের বাড়িতে যাওয়া-আসা করতেন। হটাৎ রাতে আমার মেয়ে জামাই বাড়িতে এসে বলে আমার মোবাইল ফোনে আপনার কিছু গোপন ছবি ও ভিডিও আছে। আমি ছবিগুলো দেখতে চাইলে সে আমাদের স্বামী-স্ত্রীর অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ভিডিও এবং স্থিরচিত্র দেখায়।

আমি আমার মান সম্মানের কথা ভেবে ভিডিও চিত্রগুলো মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট করার জন্য এবং ইন্টারনেটে না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করি। সে প্রতারনা মুলক ভাবে ছবি ও ভিডিওগুলো মোবাইল থেকে মুছে ফেলতে ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। সে আমাকে হুমকি দিয়ে আরও বলে যে এই কথা কেউ জানলে আমি আপনার মেয়েকে তালাক দিবো।

এদিকে মামলার অভিযুক্ত আবু সাঈদের স্ত্রী সংবাদ সম্মলেনের মাধ্যমে নিজের স্বামীকে নির্দোষ দাবি করেছেন। আবু সাঈদের স্ত্রী দাবি করে বলেন, তার স্বামী নির্দোষ। ষড়যন্ত্র করে তার মা ফাঁসিয়েছে। তারা মা-বাবার ৪ ছেলে এক মেয়ে। আমি তাদের একমাত্র মেয়ে।

আরো বলেন দীর্ঘ ৮ বছর আগে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বিয়ে করেছিলাম আবু সাঈদকে। বিয়ের পর থেকেই আমার মা-বাবা ছেলের পরিবার গরীব বলে আমাকে তাকে তালাক দিয়ে ফিরে আসতে বলছিলো। কিন্তু আমি তা করিনি। আমার মা-বাবার সাথে বিয়ের পরে প্রথম কয়েক বছর সম্পর্ক ছিলো না।

পরে দুই থেকে তিন বছর পর থেকে আমাদের দুই পরিবারের মধ্যে আবারো যোগাযোগ হয়। এর মাঝেও স্বামীকে তালাক দেয়ার জন্য অনেকবার আমার মা-বাবা চাপ সৃষ্টি করেন। কিছুতেই আমি রাজি হই না। আমার মা-বাবা ষড়যন্ত্র করে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তুলে মামলা করেছেন বলে দাবি করেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.