রাজশাহীতে রেলওয়ে কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা 

নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলওয়ে ওয়েম্যান সোহেল রানাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয়ের গলিতে সোহেল রানা গুরুতর জখম প্রাপ্ত হন। 
তার হাঁটুর পিছনের দিকে গভীর ক্ষত চিহ্ন দেখা গেছে। ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়। নিহত সোহেল রানার বোন জানান, রেলওয়ে কলোনি এলাকার ফারুক তার ভাইকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর ঘটনাটি ঘটেছে।
ফারুক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। তাকে মাতাল অবস্থায় অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শোনা যায়।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ফারুক সোহেল রানাকে বেলদারপাড়ার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী সাগরের বাড়িতে মদ পানের জন্য নিয়ে আসে। এরপরে ঘটনাটি ঘটেছে।
বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা চাকু ও চাকুর কভার উদ্ধার করেছে। ঘটনার পর, কারা হাসপাতালে নিয়ে গেল, ঘটনাটি কারা উভয় পরিবারকে জানালো তা রহস্যময়। একই সাথে ঘটনাটি মুরগির ট্রলির আঘাতে ঘটেছে বলেও প্রচার করা হয়।
কিন্তু ট্রলির আঘাতে কেবলমাত্র হাটুর নিচে পিছন দিকে গভীর ক্ষত হওয়ার কথা নয়। ট্রলির আঘাত লাগলে পা ভেঙে যাওয়ার কথা। এছাড়াও হাত-পা-মাথা অক্ষত থাকার কথা নয়। নিহত সোহেল রানার রক্ত পড়ে থাকতে দেখা গেছে বেলদারপাড়া চেয়ারম্যানের বাড়ির সড়ক থেকে অন্তত ১৫ ফুট দূরে পায়ে হাটা রাস্তায়। যে রাস্তায় মুরগির ট্রলির তো দূরের কথা রিকশাও চলাচল করে না। কাজেই দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হিসেবে ঘটনাটি যারা প্রচার করছে তাদের মধ্যেই রহস্য লুকিয়ে রয়েছে।
ট্রলির আঘাত লাগলে কেবলমাত্র একটি আঘাত লাগার কথা নয়। এছাড়াও  দুর্ঘটনার স্বপক্ষে কোন সাক্ষ্যপ্রমাণ না পাওয়ায় ঘটনাটি হত্যাকাণ্ড হিসেবে প্রতীয়মান হয়। ঘটনার মূল সন্দেহভাজন ব্যক্তি ফারুক, মদ বিক্রেতা সাগর ও তার পরিবার, ঘটনার নিকটস্থ বাসিন্দা এবং রাজশাহী মেডিকেলে যারা নিয়ে গেছে জরুরী বিভাগ থেকে তাদের নাম ঠিকানা ও সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন  করতে হবে।
হাসপাতাল পুলিশ বক্সের  দায়িত্বশীল সদস্যরাও বিষয়টি জানেন যে কারা তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেছে। প্রায় তিন বছর আগে বেলদারপাড়া আলোচিত এই মদ বিক্রেতার মদ পান করার পর বেসামাল হয়ে প্রকৌশলীকে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা।
রাজশাহী মহানগরীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন এর পিছনে লাগামছাড়া মাদক দ্রব্য ক্রয় বিক্রয়, লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচল, একশ্রেণীর উঠতি যুবকদের স্বেচ্ছাচারিতা এবং পুলিশি টহল ও নজরদারির অভাব প্রধান কারণ বলে অনুমিত হয়।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি ইফতেখার আলম (বিশাল) / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.