রাজশাহীতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (আরডিএ) উদ্যোগে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে চারলেন বিশিষ্ট সড়কের নির্মাণ কাজ। এ রাস্তার উপরেই নির্মাণ করা হচ্ছে ৮১০ মিটার প্রশস্ত একটি ফ্লাইওভার। অল্প সময়ের মধ্যেই রাস্তা এবং ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সড়ক এবং চারলেন ফ্লাইওভারটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হলে রাজশাহী নগরীর যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে জানিয়েছে আরডিএ কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নগরীর অভ্যন্তরে যানজট কমাতে এবং বড় ও ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে আরডিএ কর্তৃপক্ষ ২০১৩ সালের জুন মাসে নাটোর রোড (রুয়েট) থেকে খড়খড়ি বাইপাস পর্যন্ত একটি ফ্লাইওভারসহ ৫ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করে। জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে ২০১৮ সালের জুন থেকে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ২০৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। আর এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আন্তর্জাতিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আব্দুল মোনেম লিমিটেড।

গতকাল বুধবার বিকালে সড়ক এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ সরেজমিনে পরিদর্শনে যান আরডিএ চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আনওয়ার হোসেন। এসময় তিনি বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, নির্মাণাধীন সড়কটি নাটোর-রাজশাহী মহাসড়ক এবং বাইপাস সড়কটির সাথে সংযুক্ত। রাজশাহী-নাটোর সড়কটি নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করায় যানজট সৃষ্টি হয়। নির্মাণাধীন সংযোগ সড়কটি চালু হলে বাইপাস দিয়ে রাজশাহী থেকে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল এবং প্রবেশ করতে পারবে। ফলে যানজট কমবে। পাশাপাশি কমবে রাস্তার দূরত্বও।

তিনি বলেন, রুয়েট সীমানার শেষ প্রান্তে রেললাইন থাকায় এবং নির্মাণাধীন সড়কে যানজট কমাতে একটি ফ্লাইওভারও নির্মাণ করা হচ্ছে। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এটি হবে উত্তরাঞ্চলে প্রথম ফ্লাইওভার। এর ফলে নগরীতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নব দিগন্তের সূত্রপাত ঘটবে।

প্রকল্পটির পরিচালক আরডিএর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল তারিক বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, পাঁচ কিলোমিটার সড়কের সাথে ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে। ড্রেন নির্মাণের ফলে নির্মাণাধীন সড়কের পাশের এলাকাগুলোতে জলাবদ্ধতা থাকবে না। ড্রেনের পাশ দিয়ে আন্ডারগ্রাউন্ড পানি, গ্যাস এবং টেলিফোন তার থাকবে। এছাড়া সড়কটি নির্মাণের কারণে এ এলাকার দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। জমির মূল্য বাড়ছে। চলতি বছরের জুনে প্রকল্পটির নির্মাণ কাজ সম্পন্নের সিডিউল থাকলেও আমরা আশা করছি আগামি ডিসেম্বর নাগাদ তা সম্পন্ন হবে।

সড়ক এবং ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ পরিদর্শনের সময় চেয়ারম্যানের সাথে প্রকল্পটির পরিচালক ছাড়াও এসময় উপস্থিত ছিলেন, আরডিএ’র ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা সবুর আলী, সহকারী প্রকৌশলী শেখ কামরুজ্জামান, উপসহকারী প্রকৌশলী আবুল কাশেম, আব্দুল মোনেম লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সেলিম রেজা, আরডিএ কর্মচারী লীগের সভাপতি মিলন হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জালাল উদ্দীন প্রমুখ।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.