রাজশাহীতে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা সুমনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

নিজস্ব প্রতিবেদক :  রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। শনিবার দুপুরের দিকে ঝাড়ু মিছিল বের করে চন্দ্রিমা থানা ঘেড়াও করেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড শিরোইল কলোনী এলাকাবাসী। সম্প্রতি এক কিশোরের সঙ্গে তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌনচারের (সমকামিতা) কথিত ভিডিও নিয়ে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে এই ঝাড়ু মিছিল বের করেন এলাকাবাসী। এরআগে গত শুক্রবার নগরীর শিরোইল কলোনী জামে মসজিদে যুবলীগ নেতা সুমনের বিকৃত যৌনাচার নিয়ে তার পক্ষে মন্তব্য করায় ইমামের ওপর চড়াও হন মুসল্লিগণসহ এলাকাবাসী। তবে অভিযুক্ত তৌহিদুল হক সুমন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দলমত নির্বিশেষে নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার সহস্রাধিক নারী-পুরুষ ঝাড়ু মিছিল বের করেন। মিছিলটি ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসের সামনে থেকে বের হয়ে যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনের বাড়ির সামনে দিয়ে হাজরাপুকুর, ছোট বনগ্রাম ও বারো রাস্তার মোড়সহ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এরপর মিছিল নিয়ে গিয়ে তারা চন্দ্রিমা থানা ঘেরাও করেন। এসময় তারা যুবলীগ নেতা তৌহিদুল হক সুমনকে গ্রেফতার, শিরোইল কলোনী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মাইনূল ইসলাম আশরাফির অপসারণ ও শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জণ প্রামানিকের ও শাস্তির দাবি জানান।

পরে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বিক্ষুদ্ধ জনতার সামনে উপস্থিত হয়ে বলেন, কাউন্সিলর নুরুউজ্জামান টিটুর বিরুদ্ধে মসজিদের ইমামের পক্ষ থেকে থানায় কোনো মামলা করা হয়নি। এছাড়া তৌহিদুল হক সুমনের বিষয়টিও তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান ওসি। পরে (তার) ওসির এমন বক্তব্যে এলাকাবাসী আশ্বস্ত হয়ে ফিরে যেতে যান।

এলাকাবাসী সূত্র জানায়, শিরোইল কলোনী জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাওলানা মাইনূল ইসলাম আশরাফি ও শিরোইল কলোনী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিরঞ্জন প্রামাণিক যুবলীগ নেতা সুমনের অপরাধ ঢাকতে দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত শুক্রবার মসজিদে খুতবা পাঠের সময় সুমনের প্রসঙ্গ তুলে তার পক্ষে বক্তব্য দেওয়ায় মুসল্লিরা ক্ষিপ্ত হয়ে ইমামের উপর চড়াও হন।

সূত্র মতে, এক কিশোরের সঙ্গে রাজশাহী মহানগর যুবলীগের বহিস্কৃত যুগ্ম সম্পাদক তৌহিদুল হক সুমনের বিকৃত যৌনচারের (সমকামিতা) কথিত ভিডিও গত ১৫ এপ্রিল ফাঁস হয়। পরে এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে তোলপাড় শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ২০ এপ্রিল রাজশাহী মহানগর যুবলীগ থেকে সুমনকে বহিস্কার করা হয়। একইসঙ্গে কারণ দর্শাতে তাকে ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেয়া হয়। তবে অভিযুক্ত তৌহিদুল হক সুমন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.