গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলে খালেদা জিয়া মুক্তি পাবে : মিনু

বিএনপি প্রতিবেদক: রাজশাহী মালোপাড়া বিএনপি কার্যালয়ে আজ বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়। তৃনমুল পর্যায়ে যুবদলকে সুসংগঠিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বৈরতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার থেকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা থেকে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই প্রতিনিধি সভা অুনষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর যুবদল সভাপতি আব্দুল কালাম আজাদ সুইট। সভা পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন ও জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম সমাপ্ত।

সভায় উদ্ধোধণী বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, দেশ এখন অতল সাগরে ডুবে আছে। বর্তমান সরকার একনায়কতন্ত্র ও স্বৈরশাসন কায়েম করে জনগণকে জিম্মি করে ফেলেছে। দেশে এখণ খুন’গুম, ধর্ষনসহ নানাবিধ অপকর্ম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেইসাথে এই অবৈধ সরকারের অথ্যাচরে মানুষ অতিষ্ট হয়ে পড়েছে। দেশে এখন কোন প্রকার গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র পুনরুদ্দার করলে তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা মুক্তি পাবে। বেগম জিয়া মারাত্বকভাবে অসুস্থ। মেডিকেলের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন। অথচ এই সরকার ৭৪ বছর বয়সী একজন নারী এবং তিনাবারের প্রধানমন্ত্রীকে মুক্তি না দিয়ে মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র করছে। বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে আন্দোলনের কোন বিকল্প নাই। আর এই আন্দোলনের যুবসমাজকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। সেইসাথে সকল বাধা উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় ঘোষিত যে কোন প্রকার আন্দোলনে নেতাকর্মীদের রাজপাথে নামার ডাক দেন মিনু।

এছাড়াও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয় সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন বক্তব্য রাখেন।

এরপর রাজশাহী বিভাগের জেলা কমিটির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসরাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান ও ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও তৃনমুল পর্য়ায়ে যুবদলের বর্তমান অবস্থা, আন্দোপলনকে বেগমান করার জন্য করণীয় কি এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দে জামানী সুমন, বগুড়া জেলা যুবদলের সভাপতি শিফার আল বখতিয়ার, নওগাঁ জেলার সভাপতি বায়েজিদ হোসেন পলাশ, জয়পুর হাটের সভাপতি এইচ এম ওবায়দুল রহমান সুইট, নাটোর জেলার সভাপতি এ হাই তালুকদার ডালিম, পাবনা জেলা সভাপতি মোসাব্বির হোসেন সঞ্জু, সিরাজগঞ্জ জেলা সভাপতি মীর্জা আব্দুর জব্বার বাবু ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সভাপতি তাবিবুল ইসলাম তাবিব।

এছাড়াও রাজশাহী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর আলম সমাপ্ত, নওগাঁর খায়রুল আলম, জয়পুরহাটের এটিএম শাহনেওয়াজ কবির শুভ্র, পাবনার ইলিয়াস আহম্দে হিমেল রানা, বগুড়ার খাদেমুল ইসলাম খাদেম, সিরাজগঞ্জের মুরাদুজ্জামান মুরাদ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আব্দুর রহমান অনু। সেইসাথে রাজশাহী বিভাগের নয়টি সাংগঠনিক জেলার প্রথম সহ-সভাপতি, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকগণ বক্তব্য রাখেন।#( প্রেস বিজ্ঞপ্তি )#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.