রাজশাহীতে মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ভাল ফুল ব্যাবসা হবে বলে জানান ফুল বিক্রেতাগন

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফুল যে ভালবাসে না সে মানুষ খুন করতে পারে এই ধরনের একটি গান রয়েছে। গানটি বাস্তবতার প্রতীক। ফুল ভালবাসে না এইরূপ মানুষ খুঁজে পাওয়া পৃথিবীতে বিরল।
ফুল সৌন্দর্য্য ও পবিত্রতার প্রতীক। প্রকৃতিতে ১২ মাস ফুল পাওয়া গেলেও শীতকালে এটির সরবরাহ বেড়ে যায় আরও বেশি। নগরীর বিভিন্ন জায়গায় দেখা মেলে এসব ফুলের দোকান যেখানে পাওয়া যায় বাহারিরকম ফুল। তেমনই এক ফুল বিক্রেতা নজরুল। বিনোদপুর বাজারের বাসিন্দা। দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ আছেন এই ফুল বিক্রির পেশায়। রাজশাহীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ছোট্ট একটি ফুলের দোকান রয়েছে তার।
তিনি জানান, তার দোকানে এখন গোলাপ (লাল, সাদা), গাঁদা, জার্বেরা, গেলরিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, রজনীগন্ধা ফুল আছে। প্রতিটি সাদা গোলাপ ৩০ টাকা, লাল গোলাপ ২০ টাকা, জার্বেরা ২০-৩০ টাকা, চন্দ্রমল্লিকা ১০ টাকা, রজনীগন্ধা ১৫ টাকা এবং গাঁদা ফুল একশটি ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেছেন তিনি। ফুলের তোড়া ও বুকেটগুলোর দাম ২০০ টাকা থেকে শুরু করে মাপ ও ফুল ভেদে দামের ও ভিন্নতা আছে। এইসব ফুল নিয়মিত যশোরের গদখালী থেকে নিয়ে আসেন তিনি।
তিনি আরো জানান, বর্তমানে ফুলের পর্যাপ্ততা থাকলেও এর চাহিদা কম রয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারি মাসকে ঘিরে কিছুদিনের মধ্যেই ফুলের চাহিদা বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
শুধু নজরুল ইসলামই নন; সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে বেশ কয়েকটি দোকানের ফুল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। ফুলের চাহিদা বর্তমানে কিছুটা কম থাকলেও ভাষার মাসে ফুল নিয়ে তাদের ভালো ব্যবসা প্রত্যাশা করছেন।
এমনি একজন ফুল ব্যবসায়ী সত্তরোর্ধ দুর্গা রাণী। তিনি জানালেন, প্রায় ৪২ বছর ধরে স্বামীর সঙ্গে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে ফুল বিক্রি করছেন। কিন্তু করোনার কারণে ফুলের ব্যবসা একেবারে তুঙ্গে উঠে গেছে। তাই তিনি ফুল বিক্রির পাশাপাশি মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিক্রি করছেন। তবে ভাষার মাস উপলক্ষ্যে ফুল ব্যবসায় কিছুটা প্রাণ ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা তার।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ মাইনুর রহমান (মিন্টু) রাজশাহী।

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.