রাজশাহীতে মতিহারে পুলিশ অফিসার পরিচয়ে ছিনতাই, থানায় অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে পুলিশ অফিসার পরিচয়ে তাহসিনুন আমীন রাহী (১৬) নামের স্কুল ছাত্রের কাছ থেকে নগদ ২৬ শত টাকা ও একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে ইমদাদুল হক নামের এক ব্যক্তি।
বুধবার (২৪ মে) বিকাল ৪টায় নগরীর মতিহার থানার নতুন ফ্লাইওভারের রাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় বুধবার সন্ধায় ভূক্তভোগী তাহসিনুন আমীন রাহী বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি মহানগরীর চন্দ্রিমা থানাধীন চক-পাড়া (পদ্মা আবাসিক), এলাকার মোঃ রুহুল আমীনের ছেলে। সে দশম শ্রেণীর ছাত্র এবং হাফেজ।
অপরদিকে, পুলিশ অফিসার পরিচয় প্রদানকারী প্রতারক ইমদাদুল হক, সে দূর্গাপুর থানার চককৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ ইব্রাহিম সরদারের (ইব্রা), ছেলে।
অভিযোগের বরাত দিয়ে জানা যায়, বুধবার (২৪ মে) বিকাল টায় রাবি-রুয়েটের মাঝ স্থানের নতুন ফ্লাইওভারে পাশে দাঁড়িয়ে গোপনে সিগারেট পান করছিলেন রাহী। ওই সময় মোঃ ইমদাদুল হক (৪০) নামের এক ব্যক্তি পালসার মোটরসাইকেল যোগে ফ্লাইওভারের রাস্তায় তার কাছে এসে থামে। এ সময় সে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে ধমক দিয়ে বলে এখানে তুই সিগারেট খাচ্ছিস কেন? তার কথায় রাহী সাথে সাথে সিগারেট ফেলে দেয়।
এ সময় পুলিশ অফিসার ইমদাদুল হক তার পকেট সার্চ করে মানিব্যাগে থাকা নগদ ২,৬০০/- (ছাব্বিশ শত টাকা) একটি নোকিয়া মোবাইল ফোন যাহার মূল্য: ২২০০/- (বাইশশত টাকা) এবং একটি এ্যানন্ড্রয়েড মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে মোটারসাইকেল নিয়ে চলে যায়। ওই পথ দিয়ে তারই প্রতিবেশী রাবি শিক্ষার্থী দূর্জয় খানকে আসতে দেখে তাকে থামিয়ে বিষয়টি বলে রাহী। ওই সময় ভ‚ক্তভোগী ও দূর্জয় মোটরসাইকেল নিয়ে পুলিশ অফিসার পরিচয় প্রদানকারীকে অনুসরন করতে থাকে। বিষয়টি বুঝতে পেরে ভুয়া পুলিশ অফিসার এ্যানড্রয়েড ফোন ছুড়ে ফেলে পালিয়ে যেতে থাকে।
এক পর্যায়ে পুলিশ অফিসার পরিচয়দানকারী ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল নিয়ে রা:বি’র কাজলা গেইট সংলগ্ন সিয়ামুন চাইনিজ রেষ্টুরেন্টের নিচে মোটরসাইকেল রেখে নিচ তলার একটি ঘরে ঢুকে পড়ে। তার পিছু নিয়ে যেতে থাকলে সিয়ামুন চাইনি রেষ্টুরেন্টের মালিক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন মুন আমাকে থামায়। জিঞ্জাসা করেন কি হয়েছে? ভূক্তভোগী রাহী তাকে পুরো বিষয়টি খুলে বলেন। তার কথা শুনে মুন বলেন, তোমার সাথে অন্যায় হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করো। আমি সহযোগীতা করবো। াামার এখানে কোন ঝামিলা করা যাবে না।
এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোঃ নাহিদ হাসান, তিনি চিন্দ্রিমা থানার ভদ্রা জামালপুর এলাকার বাসিন্দা মোঃ নিজাম উদ্দিনের ছেলে । অপর জন দূর্জয় একই থানার ভদ্রা আবাসিক এলাকার মৃত কেএম আলতাফ হোসেনের ছেলে।
জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রুহুল আমিন বলেন, যে স্থানের কথা বলা হচ্ছে সেই স্থানটি চন্দ্রিমা থানা এলাকা। তাই ওই থানায় অভিযোগ দিতে হবে। এদিকে ভুক্তভোগীর দেখানো স্থানটি অবশ্যই মতিহার থানা এলাকা এতে কোন সন্দেহ নাই। তারপরও অপ্সাত কারনে ওসি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.