
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীর সাহেব বাজারে ওভার ব্রিজের উপর সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন (বুলবুল)এর ব্যানার তুলে ফেলে। সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী-লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান (লিটন)এর ঈদ শুভেচ্ছার ব্যানার টাঙ্গানো কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাত পৌনে ১২ টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তার আগেই মেয়র বুলবুলের ব্যানার সরিয়ে সেখানে সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যানার টানানো হয়। এ ঘটনার পরে মেয়র বুলবুল ঘোষণা দেন, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার মধ্যে আ’লীগের ব্যানার না সরানো হলে তিনি স্বস্ত্রীক ওই স্থানে অবস্থান কর্মমসুচি পালন করবেন।
রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ দাবি করেন, নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকার একটি বিলবোর্ডে সোমবারর রাতে হটাৎ করে সিটি মেয়র ও বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যানার টানানো হয়। অথচ সেখানে আগে থেকেই সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের একটি ব্যানার ছিল। ওই ব্যানারটি সরিয়ে মেয়র বুলবুলের ব্যানার টানানো হয়।
এ খবর পেয়ে মহানগর ছাত্রলীগ সভাপতি রকি কুমার ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহমেদসহ কয়েকজন নেতাকর্মী ঘটনাস্থলে যান। এসময় মেয়র বুলবুলও সেখানে উপস্থিত হন। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে মেয়র বুলবুল পক্ষ এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেন।
রাজশাহী সিটি মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ব্যানারে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা জানানো হয় নগরবাসীকে। আর সেখানে আগে থেকে টানানো সাবেক মেয়র এএইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের ব্যানারে নগরীকে উন্নয়নের মাধ্যমে বদলে দেয়ার স্লোগানসহ নগরবাসীকে ঈদ শুভেচ্ছা জানানো হয়। কিন্তু লিটনের ওই ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলে বুলবুলের ব্যানার টানানো হয় বলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেছেন। এনিয়েই তারা প্রতিবাদ জানান।
পরে রাত পৌনে ১২ টার দিকে সাবেক মেয়র লিটনের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়া হয় সেখানে। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে মেয়র বুলবুল দাবি করেন, জোর করে তার ব্যানার সরিয়ে ফেলেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এরপর সেখানে সাবেক মেয়র লিটনের ব্যানার টাঙ্গিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই ব্যানার তিনি সরিয়ে নিজের ব্যানার টাঙ্গানোর দাবি জানান। সেটি মঙ্গলবার দুপুরের মধ্যে না হলে মেয়র বুলবুল স্ত্রীকে নিয়ে সেখানে অবস্থান কর্মসুচি পালনের ঘোষণাও দেন। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.