রাজশাহীতে বেগম রোকেয়া দিবস উদ্যাপন ও শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বেগম রোকেয়া দিবস। সারাদেশের মতো রাজশাহীতেও জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদ্যাপন করা হয়।
এ উপলক্ষ্যে আজ শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) সকাল দশ’টায় নগরীর সপুরায় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রর্শিক্ষণ কেন্দ্রে ‘জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ’ শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় জেলা ও সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে জেলা ও সিটি করপোরেশন পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাদেরকে ৫টি ক্যাটাগরিতে মোট ৮ জনকে ক্রেস্ট, উত্তরীয় এবং সনদ প্রদান করা হয়।
জেলা পর্যায়ে শিক্ষা ও চাকুরিতে সফল ক্যাটাগরিতে কল্যানী মিনজি, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে আনোয়ারা বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে মেরিনা হাঁসদা সম্মাননা গ্রহণ করেন। সিটি করপোরেশন পর্যায়ে শিক্ষা ও চাকুরিতে সফল ক্যাটাগরিতে হোসনে আরা পারভীন, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে নুসরাৎ রহমান ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ক্যাটাগরিতে মোসা: মেহেরুন সম্মাননা গ্রহণ করেন। জেলা ও সিটি করপোরেশন উভয় পর্যায়ে অর্থনৈতিকভাবে সফল নারী ক্যাটাগরিতে মোসা: মনিরা খাতুন ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলা নতুন উদ্যমে জীবন শুরু ক্যাটাগরিতে সায়েমা পারভীন শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননা গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক শাহানা আক্তার জাহানের সভাপতিত্বে সাবেক মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপিকা জিনাতুন নেসা তালুকদার, বিশিষ্ট সমাজসেবী শাহীন আক্তার রেনী, রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের প্রফেসর তানজিমা জোহরা হাবিব ও জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান মর্জিনা পারভীন বক্তৃতা করেন। মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের রাজশাহী কার্যালয়ের উপপরিচালক শবনম শিরিন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
জিনাতুন নেসা তালুকদার বলেন, নারীরা সমাজের বোঝা নয়। পুরুষের পাশাপাশি আজ অর্থনীতিতে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে নারীরাই। আর এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল নারী-পুরুষ যাতে সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে পারে। সেই জন্য তিনি সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা আজ আমাদের মাঝে বেগম রোকেয়ার মত অগ্রণী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন।
শাহীন আক্তার রেনী বলেন, নারীরা এক সময়ে নিজেদেরকে দুর্বল মনে করত। ঘর ছেড়ে বাইরে আসতে চাইতো না লোকে খারাপ বলবে বলে। সেই জায়গা থেকে নারীদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে এসেছেন নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন। তিনিই বাঙালি নারী জাগরণের একমাত্র পথিকৃত। নারী-পুরুষ একত্রে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলে দেশ অনেক এগিয়ে যাবে বলে এ সময় তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সভায় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারী, নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ জয়িতাবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, পিআইডি, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.