রাজশাহীতে বিপ্লব ও সংহতি দিবস- যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, ততদিন জিয়ার নামও স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে: বুলবুল

বিএনপি প্রতিবেদক:  ১৯৭৫ সালের পর থেকে ৭ নভেম্বরকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে বিএনপি। দিনটি উপলক্ষে মহানগর বিএনপি নানা কর্মসূচী পালন করে।

এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, কবুতর উন্মুক্তকরণ ও শহীদদের এবং মৃত মুসলিম ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। এছাড়াও বাদ আসর একই বিষয়ে মালোপাড়াস্থ দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংহতি দিবসের উদ্বোধন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম থাকবে। জিয়ার নাম কেউ মুছে ফেলতে পারবেনা। বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষনায় দেশ যেমন স্বাধীন হয়েছিল, তেমনি ১৯৭৫ সালে বিপ্লব ও সংহতি দিবসের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, দেশে এখন কোন গণতন্ত্র নাই। আইনের শাসন নেই, দেশব্যাপি শুধু খুন, গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, ধর্ষন, লুটপাট ও দূর্নীতিতে ভরে গেছে। সেইসাথে পার্শবর্তী দেশের তাবেদারী করার জন্য বর্তমান সরকার দেশের সার্বোভৌমত্ব বিকিয়ে দিচ্ছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বতর্মান প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বার্থ রক্ষা করছে বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে দেশকে স্বাধীন করার জন্য সদ্য প্রয়াত বিএনপি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট, সাবেক মেয়র ও মন্ত্রী নিজের জীবন বাজি রেখে গেরিলা যুদ্ধ করেছিলেন।

শুধু তাই নয় তিনি কমান্ডারের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর মৃত্যুতে এখন পর্যন্ত বর্তমান অবৈধ প্রধানমন্ত্রী ও দেশের মাহমান্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ শোকবার্তা দেননি। এগুলো শুধু রাজনৈতিক হীনমন্যতার কারনেই তাঁরা করছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বুলবুল বলেন, একইভাবে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভাবে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে রেখেছে এই সরকার। জামিনযোগ্য বিষয় হলেও সরকার বেগম জিয়াকে জামিন দিচ্ছেনা। এখন রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই বেগম জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা হবে। এই আন্দোলনে সকলকে শরীক হওয়ার আহবান জানান তিনি।

মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সভাপতিত্বে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মহসিন, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি বজলুর রহমান কচি, ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা ও শ্রমিক দলের সভাপতি ইশারুদ্দিন ইশা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইন হিকোল, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি এ্যাডভোকেট সামসাদ বেগম মিতালী, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার ও রোজি, মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস বীন কাশেম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ ও রাবি ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহিসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী। #(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.