রাজশাহীতে বিএনপির বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজশাহীতে এক বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মহানগর বিএনপির আয়োজনে আজ শনিবার বিকালে নগরীর অনুরাগ কমিউনিটি সেন্টার এটি অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক রাসিক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল।

মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়ার উপদেষ্টা , সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ঐক্য ফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক জননেতা মিজানুর রহমান রহমান।

সভায় বক্তৃতাকালে বিএনপি নেতা মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, দলীয় কর্মীদের একেক জনকে পুলিশ,র্যাব,বিজিবির ভূমিকা পালন করতে হবে। সাহস রেখে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হবে।

মহানগরীর ১০৪ টি ভোট কেন্দ্রে ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করার ঘোষণা দেন তিনি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন মুক্তিযুদ্ধের নির্বাচন। জনগণ আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে। সারাদেশে ২০০’র বেশি আসনে জিতে গণতন্ত্রের মা বেগম  খালেদাজিয়াকে মুক্ত করতে হবে।

বেগম জিয়ার মুখের দিকে তাকিয়ে আভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য ভুলে গিয়ে একজোট হয়ে কাজ করার আহবান জানান সাবেক এই রাসিক মেয়র।

বর্ধিত সভায় নগরীর ওয়ান ব্যাংককে  নির্বাচনী দপ্তর ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নির্বাচনী প্রচার কমিটি, অর্থ উপ-কমিটি, আইন সহায়তা সেল এবং মিডিয়া সেল গঠন করা হয়েছে বলে জানানো হয়।

এ সময় রাজশাহী সদর আসনে মিজানুর রহমান মিনুর হয়ে ধানের শীষের পক্ষে সোচ্চার থাকার আহবান জানানো হয়।
সুশৃঙ্খল পরিকল্পনা নিয়ে সামনের নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন মিনু।

মনোনয়ন নিশ্চিত না হলেও  রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের দিকে সবুজ সংকেত দেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজী হেনা, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাধী শিক্ষক ফোরামের (সাদা দল) সভাপতি প্রফেসর এনামুল হক ও জাতীয়তবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মুক্তা।

অন্যদের মধ্যে বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর শ্রমিক দলের সভাপতি ঈশারুদ্দিন ঈশা, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন,জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউজ্জামান পরাগ,মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন-আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন, নুরুন্নাহার, জরিনা, সামসুন্নাহার, মুসলিমা বেলী, গুলশান-আরা মমতা ও নাসিরা খানম, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য ইলিয়াস বীন কাশিম, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর সংগ্রামী দলের সভাপতি আনোয়ার হোসে আনন, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকবর আলী জ্যাকি ও নাহিন আহম্মেদসহ বিএনপি’র সাংগঠনিক সকল ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা শেষে নগরীর প্রত্যেক থানা ও ওয়ার্ড ভিত্তিক দায়িত্বশীলদের মাঝে দায়ীত্ব বণ্টন করা হয়।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.