রাজশাহীতে প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: আজ সোমবার (২০ মার্চ) বিকালে রাজশাহী নগর ভবনের এ্যানেক্স হলরুমে কলকাতা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ ও রাজশাহীর বিশিষ্টজনদের নিয়ে প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হয়।

রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিস সুর, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাস কমিউনিকেশন এন্ড ভিডিওগ্রাফি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. দেবজ্যোতি চন্দ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও ম্যাস কমিউনিকেশন বিভাগের প্রফেসর ড. সান্ত¦ন চট্টোপাধ্যায়, বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের আহবায়ক সৌম্যব্রত দাস, কলকাতা বাংলা ওয়ার্ল্ড ওয়াইডের সদস্য বিদ্যুৎ মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. এ.বি.এম শরিফ উদ্দিন।
কলকাতা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত ও বাংলাদেশ একজন মানুষকেই বেছে নিয়েছিল, সেটা হল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। কাজেই কাঁটাতারের বেড়া আমাদের বিভেদ করতে পারবে না। দুই বাংলার মানুষের মধ্যে আত্মার সম্পর্ক। বাঙ্গালিকে কোন ভাবেই ভাগ করা যায় না। আপনারা মাতৃভাষার জন্য যে ত্যাগ করেছেন এবং স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম দিয়েছেন তা অত্যান্ত গর্বের।
তারা বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের আপনারা যেভাবে স্মরণ করেন তা এক কথায় অনন্য। আপনারা মুক্তিযুদ্ধের দিবসগুলো উদ্যাপন করেন না- যাপন করেন, ধারণ করেন, লালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় আপনাদের সাহায্য করতে পেরে আমরা গর্বিত।
ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ পাইপ লাইন উদ্বোধনের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে আশা প্রকাশ করে ভারতীয় অতিথিরা বলেন, দুই দেশের সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র রয়েছে, এগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সম্পর্ক আরও সুদূর প্রসারী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তাঁরা। এসময় কলকাতা থেকে আগত অতিথিবৃন্দ রাজশাহী মহানগরীর পরিকল্পিত উন্নয়ন ও পরিচ্ছন্নতা এবং এ নগরীর রূপকার রাসিক মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটনের ভুয়সী প্রশংসা করেন।
সভাপতির বক্তৃতায় রাসিক মেয়র বলেন, ভারতের মুর্শিদাবাদের ধূলিয়ান হতে গোদাগাড়ীর সুলতানগঞ্জ হয়ে রাজশাহী পর্যন্ত নৌবন্দর চালুর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। আলোচনা অনেক দূর এগিয়েছে। এটি চালু হলে উভয় দেশ থেকে মালামাল আমদানি-রপ্তানি সহজ হবে। উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। বাংলাদেশ-ভারত সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে, উভয় দেশের কল্যাণ হবে।
আনুষ্ঠানে রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আব্দুল খালেক, কবিকুঞ্জের সভাপতি প্রফেসর রুহুল আমিন প্রামাণিক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মুসতাক আহমেদ, সিনিয়র সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান খান আলম বক্তৃতা করেন।
এসময় বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাসিক মেয়র কলকাতা থেকে আগত অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেন ও তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
সংবাদ প্রেরক স্বা/-জনসংযোগ কর্মকর্তা, পিআইডি, রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.